১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালো রাতের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বরিশালের ত্রিশ গোডাউন বধ্যভূমি এলাকা হাজার হাজার মোমবাতির আলোয় আলোকিত হয়।
শনিবার বেলা ১১টা ১০ মিনিটে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ পাকবাহিনীর নির্মম নির্যাতন ও হত্যার স্থানে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেন।
এ সময় সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, “এটি একটি চেতনার জায়গা। এখানে আমাদের তরুণ প্রজন্ম আসলে অনুভব করে কিভাবে মা-বোনদের সসম্মানে হত্যা করা হয়েছে। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মোমবাতি জ্বালানো হয়।”
রোববারও এখানে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান হবে বলে জানান তিনি।
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে হাজারো মোমবাতিতে আলোকিত বরিশালে বধ্যভূমি
বরিশাল শহরের ওয়াপদা কলোনীর বিভিন্ন ভবন মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকবাহিনী টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহার করেছিল। পরে মুক্তিযোদ্ধাদের দাবিতে জায়গাটি বধ্যভূমি হিসেবে সংরক্ষণ করা হয়।
শনিবার ওই টর্চার সেলে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সময় ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে বধ্যভূমি এলাকা।
পরে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের পর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছাড়া দেশ গড়তে পারে না। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধরে রাখব।
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে হাজারো মোমবাতিতে আলোকিত বরিশালে বধ্যভূমি
এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস বলেন, স্বাধীনতার জন্য এত রক্ত দেওয়ার ইতিহাস আর কোথাও নেই। বাংলাদেশে পাক হানাদার বাহিনী যে গণহত্যা করেছে তার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিতে হবে।