স্টাফ রিপোর্টারঃবৃষ্টির পানি প্রবেশ করায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় রমজানে বরিশাল নগরের নথুল্লাবাদ বিআরটিসি বাস টাির্মনাল সংলগ্ন বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদে মুসুল্লীরা তারাবির নামাজ আদায় করতে পারেননি। মুসুল্লীদের অভিযোগ, জমির মালিকানা দাবী করে মসজিদের স্থাপনা উচু করতে দিচ্ছেন না বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ। অপরদিকে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মানের ফলে চারদিক উচু হয়ে যাওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে পনি গড়িয়ে নিচু মসজিদে প্রবেশ করছে। ফলে দূর্ভোগে পড়েছেন মুসুলীরা।
স্থানীয় সুত্র জানিয়েছে, নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে অনুমানিক দুইশ গজ দুরে ঢাকা বরিশাল-মহাসড়কের পাশে বায়তুল ফালাহ মসজিদ স্থাপিত হয় ১৯৮২ সালে। ওই সময়ে টিনশেড দিয়ে মসজিদটি নির্মিত হয়। এখনও সে অবস্থাতেই আছে।
মসজিদ কমিটির আহ্বায়ক মো. সাইদ খান বলেন, মসজিদ স্থাপনের কমপক্ষে ৫ বছর পরে কেন্দ্রীয় বাস টার্র্মিনাল ও বিআরটিসি ডিপো স্থাপিত হয়। ডিপো কর্তৃপক্ষ জমির মালিকানা দাবী করে মসজিদ উন্নয়নে বাঁধা দিয়ে আসছে। যে কারনে টিনশেড দিয়ে শুরু হওয়া মসজিদটির অবস্থা এখন খুবই নাজুক। বিভিন্ন উন্নয়নে মহাসড়কসহ আশপাশ উচু হয়ে যাওয়ায় মসজিদের জমি হয়ে গেছে নিচু। তাছাড়া বিআরটিসির একটি পুকুর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতো। কিছুদিন আগে পুকুরটি ভরাট করেছে বিআরটিসি। মৌসুমের প্রথম বৃষ্টিতে গত শনি ও রোববার পানি প্রবেশ করায় মসজিদে তারাবীর নামাজ আদায় করা যায়নি।
মসজিদের ইমাম মজিবর রহমান জানান, দ্বিতীয় রমজানের দিন তারাবীর আগে বৃষ্টিতে মসজিদের ভেতরে পায়ের গোড়ালির ওপর পানি উঠে যায়। তৃতীয় রমজানে ইফতারি সময়ে বৃষ্টিতে একই অবস্থা হয়। ফলে পানি অপসারন করে কোনভাবে ওয়াক্ত নামাজ আদায় করলেও তারাবীর নামাজ আদায় হয়নি।
নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক মীর্জা গোলাম রাব্বানী লাবু বলেন, আশপাশের ব্যবসায়ীরা ওই মসজিদে নামাজ আদায় করেন। বিআরটিসি মসজিদের উন্নয়ন কাজ করতে দিচ্ছেনা বলে অভিযোগ রয়েছে। এখন নামাজ আদায় করতে না পারায় মুসুল্লীরা ক্ষুদ্ধ। তারা বিআরটিসির বিরুদ্ধে আন্দোলনেও নামতে পারেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে বিআরটিসির ডিপো ব্যবস্থাপক জামসেদ আলী বলেন, মসজিদ নিয়ে কোন বিরোধ নেই। জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। তাদের জমির মসজিদে বিআরটিসি দপ্তর নিয়ন্ত্রন করবে এটাই স্বাভাবিক। এ নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য রয়েছে। ব্যবস্থাপকও বলেন, তাদের পুকুর ভরাট হওয়ায় মসজিদের মধ্যে পানি ঢুকেছে বলে তিনি পরে জানতে পেরেছেন। সেটি জানার পর নালা কেটে পানি অপসারনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
তবে মসজিদ কমিটির আহ্বায়ক মো. সাইদ খান বলেন, মসজিদে বিআরটিসির জমি নেই। মজসিদের নামে রেকর্ডীয় জমি আছে ১০ শতাংস। অবশিষ্ঠ জমি সিঅ্যান্ডবির