More

    কলাপাড়ায় ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম

    অবশ্যই পরুন

    কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিবেদক:পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্থানীয় রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তরকে কেন্দ্র করে ধানখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক জয়নাল মৃধাকে বেধড়ক কুপিয়ে জখম করার প্রতিবাদে ও জড়িতদের শাস্ত্রির দাবিতে শনিবার বেলা ১১টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়র মো: তৌহীদুর রহমান (সিআইপি) মিলনায়তনে সাংবাদ সম্মেলন করেছে। উপজেলা ছাত্রলীগ এসংবাদ সম্মেলন করে। সংবাদ সমেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছাত্রলীগ কলাপাড়া উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মো: ফয়জুল ইসলাম আশিক তালুকদার। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) শেষ বিকেলে উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের কলেজ বাজারে ধানখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক জয়নাল মৃধা ইফতার সামগ্রী নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় ধানখালীর চিহ্নিত সন্ত্রাসী মো: শাহাবুদ্দিন হাওলাদারের নেতৃত্বে ২০/২২ সন্ত্রাসী চাপাতি দিয়ে হামলা চালিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এসময় বাধাঁ দিতে এগিয়ে আসলে ওই সন্ত্রাসীরা বারেক চৌকিদারকে কুপিয়ে জখম করে। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, সদ্য সমাপ্ত ধানখালী ইউপি নির্বাচনের পর একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাদের গড ফাদার হিসেবে সদ্য নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান শাহাজাদা টিনু মৃধাকে দায়ী করেছেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক দলীয় কোন্দল এর জের বলে স্বীকার করেন। সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
    এব্যাপারে সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান শাহাজাদা পরভেজ টিনু মৃধা বলেন, ঘটনার দিন আমি শপদ নেয়ার জন্য পটুয়াখালী ছিলাম। এঘটনার সাথে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। তবে মামলার সকল আসামী ছাত্রলীগসহ আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠনের সাথে জড়িত। আমাকে রাজনৈতিক ভাবে হেয় করতে তারা আমার নাম জুড়ছে।
    ধানখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও মামলার ২নং আসামী সজল চৌকিদার বলেন, রোজা থাকায় আমি ঘটনার দিন বাসায় বিশ্রামে ছিলাম। পুলিশের ফোন পেয়ে জানতে পারি বাজারে মারামারি হচ্ছে। আমি গিয়ে দেখি মারামারি শেষে সেখানে আমার চাচা বারেক চৌকিদার ও আহত হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত না থেকে ও আসামী হয়েছি। বাজারে সিসিক্যামেরা আছে তাতে দেখে আমি যদি মারামারিতে থেকে থাকি তবে সে শাস্তি হবে মাথা পেতে নেব। ২০ বছর যাবত ছাত্রলীগ করছি কখনো কোন একটি অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে আসেনি। আমি প্রধান মন্ত্রীসহ প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
    কলাপাড়া থানার ওসি মো. জসিম বলেন, ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহার ভ’ক্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ বাকি আসামীদের গ্রেফতারে তৎপর রয়েছে। আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এবং অপরাধীর বিচার নিশ্চিতে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
    উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব তালুকদার বলেন, ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে এঘটনা ঘটেছে।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    গণমাধ্যম কর্মী রিফাত হোসেন (জামাল) অসুস্থ, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে ভর্তি

    গণমাধ্যম কর্মী রিফাত হোসেন (জামাল) বেশ কিছুদিন ধরে লিভারজনিত জ্বরসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে...