রাসেল মাহমুদ,বরগুনাঃ
প্রকৃতির রূপ আর সৌন্দর্যের লীলাভূমি মানুষের মন করে করে তোলে প্রকৃতি প্রেমিক। আর সেই প্রকৃতির সৌন্দর্যের রূপ খুজতে অনেকে চলে আসে শুভসন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতে এসে মুগ্ধ হয়ে যায় প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য । একদিকে সীমাহীন সাগর, অন্যদিকে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট টেংরাগিরি। তার কোল ঘেঁষে বরগুনার প্রধান তিন নদী পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বরের মোহনায় জেগে উঠেছে একটি চর। চরটির নাম শুভসন্ধ্যা সমুদ্রসৈকত। চরটিকে ঘিরে রেখেছে ঘন সবুজ ঝাউবন। বাতাসের শোঁ শোঁ শব্দে তীরে এসে আছড়ে পড়ে সাগরের ঢেউ। এমন অপরূপ দৃশ্য আর মনোরম পরিবেশ টেনে নিয়ে আসছে পর্যটকদের।
তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নে এই সমুদ্রসৈকতটির অবস্থান। এটি এখন জেলার অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্র। কুয়াকাটার পর এটি দেশের একমাত্র সমুদ্রসৈকত যেখানে দাঁড়িয়ে সূযোর্দয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়। বিভিন্ন এলাকা থেকে এখানে নিয়মিত পর্যটক আসলেও কোনো হোটেল মোটেল না থাকায় গুরুত্ব হারাচ্ছে সম্ভাবনাময় এই পর্যটন কেন্দ্রটি। ঘুরতে আসা পর্যটকদের দাবি, যাতায়াতের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হলে এবং হোটেল মোটেল হলে ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করলে দেশের মধ্যে অন্যতম একটি পর্যটন কেন্দ্র হতে পারে এই সমুদ্র সৈকতটি।
নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বাচ্চু বলেন, সরকারী উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারী পর্যায়ে উদ্যোক্তারা হোটেল মোটেল নির্মাণে এগিয়ে আসলে শুভসন্ধ্যা সমুদ্রসৈকতটি বাংলাদেশের পর্যটন স্থানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে।
এ প্রসঙ্গে বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, শুভসন্ধ্যা সমুদ্রসৈকতকে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য ট্যুরিজম বোর্ডে আমাদের একটি প্রস্তাব পাঠানো আছে।
বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন, দক্ষিণাঞ্চলে পর্যটন শিল্পের বিকাশে বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলাকে কেন্দ্র করে ‘Potential growth Center & Tourist Zone Of Kuakata Costal Region’ নামে দুই বিলিয়ন ডলারের একটি প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রহণ করেছেন। সর্বপ্রথম আমিই এটা নিয়ে উচ্চকিত হয়েছিলাম এবং আমার সৌভাগ্য জাতির জনকের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পটি অনুমোদন করেছেন। শুভসন্ধ্যা সমুদ্রসৈকতটি এ প্রকল্পের আওতাভুক্ত। তিনি আরও বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন পর্যটন শুভসন্ধ্যা সমুদ্রসৈকতে পর্যটন আকর্ষণে প্রয়োজনীয় স্থাপনা নির্মাণে জমি অধিগ্রহণের জন্য প্রত্যয়নপত্র চেয়েছে। দ্রুতই সেখানে হোটেল মোটেলসহ প্রয়োজনীয় স্থাপনা নির্মাণ করা হবে।