স্টাফ রিপোর্টারঃ আজ ১লা মে সোমবার সকাল ৯:৩০ মিনিটে বাংলাদেশ বহুমুখী শ্রমজীবী ও হকার সমিতির বরিশাল জেলা কার্যালয়ে মহান মে দিবস উপলক্ষে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ আলোচনা শেষে একটি মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে লঞ্চঘাটে গিয়ে শেষ হয়।
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক জামান কবিরের সঞ্চালনায় ও বাংলাদেশ বহুমুখী শ্রমজীবী ও হকার সমিতির জেলা আহ্বায়ক আরিফুর রহমান মিরাজের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলা আহ্বায়ক দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলু, সদস্য ইয়াসমিন সুলতানা, বাংলাদেশ কৃষক-মজুর সংহতির কেন্দ্রীয় সদস্য রুবিনা ইয়াসমিন ও বাংলাদেশ বহুমুখী শ্রমজীবী ও হকার সমিতির বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ।
এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘মে দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য শ্রমিকের অধিকার সচেতন করা। কিন্তু আমাদের দেশের শ্রমিকেরা নানান ভাবেই শাসক শ্রেনীর কাছে উপেক্ষিত। মেহনতী মানুষের ন্যূনতম মানবিক মর্যাদা ও আজ হুমকির মুখে ৷ আমাদের দেশের পোশাক শ্রমিকরা হাড় ভাঙা পরিশ্রম করে যে মজুরি পায় তা দিয়ে সংসার চলে না। বিভিন্ন শিল্পকারখানায় বারবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেই চলছে কিন্তু শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য নিরাপদ কর্ম পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে না।’
নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘ভাসমান শ্রমিকদের জন্য নির্দিষ্ট মজুরি ব্যবস্থা কার্যকর হচ্ছে না। বরিশালে বিভিন্ন হোটেল, আড়ৎ ও কারখানায় নারী শ্রমিকরা ঘন্টায় ১০ টাকা মজুরিতে কাজ করে যাচ্ছে। এই মজুরি দ্বারা ক্রমবর্ধমান বাজার মূল্য বৃদ্ধি কালে কোন ভাবেই টিকে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। দেশের সর্বত্র ভাসমান শ্রমিকের টেকসই মজুরি নিশ্চিতে সরকারের তেমন নজর নেই।’
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ‘শ্রমিক মেহনতী মানুষের জীবন বাচিয়ে রাখতে অবিলম্বে দ্রব্যমূল্য কমাতে হবে। একই সাথে দেশের সকল শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করতে হবে৷ সাংবিধানিক ভাবে দেশের সকল খাস জমির মালিক ভূমিহীনরা৷ তাই খাস জমি ভূমি হীন ও শ্রমজীবীদের মাঝে বন্টন করে দিতে হবে’।
এসময় নেতৃবৃন্দ সকলের প্রতি শ্রমজীবী ও মেহনতী মানুষের সরকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে বেগবান করার আহ্বান জানায়।