রাসেল মাহমুদ,বরগুনা প্রতিনিধিঃ
আমাদের কিছু ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি রয়েছে। যা নিজস্বতার কথা মনে করিয়ে দেয়। এসব গ্রামীণ সংস্কৃতি হলো বাঙালির সম্পদ। বাংলার হারিয়ে যাওয়া যাত্রা পালা বিলিন হয়ে গেছে,তবে বাংলার সেই পুরানো ঐতিহ্য যাত্রা পালা এখন ধরে রেখেছেন বরগুনার যাত্রা শিল্পী পরিষদ। বরগুনায় নানা প্রোগ্রামে এবং অনুষ্টানে যাত্রা পালা করে থাকেনন তারা।
এই জন্য সৌজন্য সাক্ষ্যত করেন বরগুনার সদ্য যোগদান করা কালচারাল অফিসার তানজিলা আক্তার এর সাথে।এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন যাত্রা শিল্পীর পরিষয়দ বরগুনার এর সভাপতি দেলোয়ার হোসেন স্বপ্নন ও সাধারন সম্পপাদক আল মামুন সহ সকল শিল্পীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংস্কৃতির শেকড়ের সন্ধান করতে গেলে সবার আগে উঠে আসবে যাত্রাশিল্পের নাম।নানা ধারার মধ্য দিয়ে যাত্রাশিল্প বিস্তার লাভ করেছে। যাত্রাশিল্পকে ভালোবেসে, অভিনয় ভালোবেসে এর সঙ্গে জীবন জড়িয়েছে হাজার হাজার মানুষ। অর্থ নয় বরং এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মানুষের ভালোবাসাই ছিল যাত্রারা সঙ্গে জড়িত হওয়ার প্রধান উদ্দেশ্য। যাত্রা মানে তাদের কাছে আবেগ। বাংলাদেশের গ্রামীণ ও লোকজ ঐতিহ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো যাত্রাপালা। এসব যাত্রাপালার সপ্তাহ বা মাসব্যাপীও আয়োজন করা হতো। এটাই ছিল বাংলার আদিকাল থেকে চলে আসা বিনোদনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম।
যাত্রা শিল্পীর পরিষয়দ বরগুনার এর সভাপতি দেলোয়ার হোসেন স্বপ্নন বলেন,যাত্রার কথা মনে হলেই চোখের সামনে যে দৃশ্য ভেসে ওঠে তা হলো একটি উজ্জ্বল আলোয় ভরা মঞ্চ, সুন্দর এবং রাজকীয় পোশাক পরা কিছু মানুষ, চারপাশে প্রচুর দর্শক অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে এমন একটি দৃশ্য। অভিনেতা-অভিনেত্রীরা মঞ্চে উঠে সংলাপ বলে যাচ্ছেন। তাই বাংলার এই ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখতে বরগুনা যাত্রা শিল্পীর পরিষয়দ নিরালস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।