ঝালকাঠির পদ্মা—মেঘনা পেট্টোলিয়াম ডিপো সংলগ্ন সুগন্ধা নদীতে ওটি সাগার নন্দিনী—২ এর অঙ্গিকান্ডের উদ্ধার অভিজান শেষে সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় পুণরায় ওটি নন্দিনী—২ এবং তেল অপশারন করতে আসা ওটি নন্দিনী—৪ একই সাথে আগুনে পুড়ে পানিতে নিমজ্জিত হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এসময় উদ্ধারকারী বিআইডব্লিউটি এর জাহাজ তাদের উদ্ধার কাজ শেষ করে নদীতে অপেক্ষা করছিল।
বিকট শব্দে আগুন বিস্ফোরিত হলে ওটি সাগর নন্দিনী—৪ থাকা কর্মীরা আগুন দেখে পানিতে লাফ দিয়ে প্রাণ রক্ষা করেন। তবে, এ সময় পুলিশসহ ১১জন আহত হয়েছে মর্মে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়। জাহাজের দুর্ঘটনার প্রথম দিনের পর ৪ লক্ষ লিটার জালানী তেল অপশারন করা হয়েছিল। অবশিষ্ট ৭ লক্ষ লিটার জালানী একই প্রতিষ্ঠানের ওটি সাগর নন্দিনী—৪ জাহাজে তেল পদ্মা ডিপোতে নেয়ার জন্য লোড করা হচ্ছিল। এই ঘটনার পরে শহর জুড়ে মানুষের মাঝে আত্মঙ্ক ছড়িয়ে পরে এবং কিছু তেল নদীতে ভাসমান অবন্থায় জ¦লতে থাকে। সর্বশেষ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জাহাজে আগুন জ¦লছে।
বরিশালসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও নৌ ফায়ারসার্ভিস ১২টি ইউনিট আগুন নিভানোর জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। গত ১ জুলাই, শনিবার দুপুর আনুমানিক ২টায় ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে জালানী তেলবাহী জাহাজ ওটি সাগর নন্দিনী—২ দুঘর্টনার কবলিত হয়। পদ্মা পেট্টোলিয়াম কর্পোরেশন ১১ লক্ষ লিটার জ¦ালানী নিয়ে চট্রগ্রাম থেকে ঝালকাঠির ডিপোর উদ্দেশ্যে নিয়ে আসে। সুগন্ধা নদীতের নোঙ্গর করা অবস্থায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় জেলা প্রশাসক কতৃর্ক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ রুহুল আমিনকে প্রধান করে এই তদন্ত টিম তদন্ত কাজ শুরু করেছে আগামী কাল জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করারর কথা রয়ছে। তবে, রুহুল আমিন তদন্তের বিষয় রিপোর্ট প্রদান না করা পর্যন্ত কোন তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।