মাদারীপুরে ডাসারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দেশী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে খান ও মল্লিক গ্রুপের মধ্যে দফায়-দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ১১ জন আহত হয়। এসময় উভয় পক্ষে ব্যাপক বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। থানা পুলিশ ৪ জনকে আটক করেন। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বালিগ্রাম ইউনিয়নের খাতিয়াল গ্রামে এ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও এলাকা সূত্রে জানাযায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ঐ এলাকার মল্লিক ও খান গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। স্থানীয় একটি শালিশ মিমাংশাকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিন ধরে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর জের ধরে মল্লিক গ্রুপ ও খান গ্রুপ পাল্টাপাল্টি বৃষ্টির মত বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় উভয় পক্ষই ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং দেশি অস্ত্র রামদা-টেটা নিয়ে বিভিন্ন বসত বাড়িতে হামলা চালায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ডাসার থানা পুলিশ পৌছালে দুই পক্ষই পিছু হটে। পরে থানা পুলিশ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে তল্লাশি চালিয়ে দেশি অস্ত্র উদ্ধার করে। এদিকে উভয় পক্ষের আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। কয়েকজন হামলাকারীরা মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে পুলিশ ৪ জনকে আটক করেন। তবে আটককৃতদের নাম জানাযায়নি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মল্লিক ও খান গ্রুপ এর আগেও কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িয়ে পড়েছিল। পরে ওই দুই গ্রুপই আনুষ্ঠানিকভাবে ডাসার থানা পুলিশের কাছে ঢাল,রাম দা ও টেটা জমা দিয়ে শপথ করেছিলেন তারা আর কোন প্রকার মারামারি করবেন না। এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করবেন না। কিন্তু থানা পুলিশকে দেয়া সেই কথা তারা না রেখে পুনরায় এ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান খান বলেন,উভয় পক্ষকেই আপোষ মিমাংসা করে দেয়া হয়েছিল। তারা পুনরায় কি কারনে মারামারি করেছে তা বলতে পারছিনা।
এ ব্যাপারে ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) হাসানুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় আমরা ৪জনকে আটক করেছি, মামলা এখনো হয়নি। তবে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।এলাকায় শান্ত বিরাজ করছে।