ঝালকাঠি জেলায় ২০২২—২৩ অর্থ—বছরে ২২৯ কোটি ৭৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকার লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি এই জেলার ১৫৫ কোটি ৮৮ লাখ ৪ হাজার টাকার কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে। জেলার লক্ষ্যমাত্রা ২২৯ কোটি ৭৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকার মধ্যে কৃষি ব্যাংকের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২১৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা। জেলায় কৃষি ব্যাংক তাদের ১৫টি শাখার মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে ১১ হাজার ৫৫৪ জনের মধ্যে এই কৃষি বিতরণ করেছে। বিতরণের হার ৭৩% বিগত (২১—২২) অর্থ—বছরের চেয়ে এই অর্থ—বছরে ৬ কোটি ১০ লাখ ৯৯ হাজার টাকা কৃষি বিতরণ কমেছে। তবে বিগত বছরের চেয়ে কৃষি ঋণ আদায়ের হার বেড়েছে। এ বছর জেলায় কৃষি ব্যাংকের আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছিল ৯৬ কোটি ৫০ লাখ ১৪ হাজার টাকা এবং এই অর্থ—বছরে আদায় হয়েছে ৯০ কোটি ২২ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
আদায়ের হার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৯৪%। বিগত (২১—২২) অর্থ—বছরের চেয়ে ২২ কোটি ৩৫ লাখ ৫২ হাজার টাকা বেশি আদায় হয়েছে। এই (২১—২২) অর্থ—বছরে আদায় হয়েছিল ৬৭ কোটি ৮৭ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। গ্রামীণ অর্থনীতির ভিত ক্রমান্বয়ে মজবুত হচ্ছে এবং প্রতি বছর সরকার কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি করে যাচ্ছে। গ্রামের মানুষ বর্তমানে কৃষির উপর নির্ভরতা কমিয়ে পরিবারের শারিরীকভাবে সক্ষম সদস্যরা বিদেশে যাে্ধসঢ়;চ্ছ কৃষি ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদনে তথ্য রয়েছে এবছর কৃষি ব্যাংক শাখাগুলিতে ২০ কোটি টাকা ফরেন রেমিট্যান্স অর্জনে লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছিল। এই বছর (২২—২৩) অর্থ—বছরে ১৬ কোটি ৮৫ লাখ ৮৬ হাজার টাকা ফরেন রেমিট্যান্স অর্জন হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার ৮৪%।
বিগত (২১—২২) অর্থ—বছরে অর্জনের পরিমাণ ছিল ১২ কোটি ৭৫ লাখ ১৮ হাজার টাকা এবং (২২—২৩) অর্থ—বছরে ১৬ কোটি ৮৫ লাখ ৮৬ হাজার টাকা অর্জনের ফলে পূর্বের বছরের চেয়ে ৪ কোটি ১০ লাখ ৬৮ হাজার টাকা ফরেন রেমিট্যান্স বেশি অর্জন হয়েছে। বর্তমানে গ্রামীন পর্যায়ে পরিশ্রমের কৃষি কাজ ছেড়ে দিয়ে সক্ষম কৃষক পরিবারের কিছু কিছু সদস্য কৃষি কাজ ছেড়ে অটো রিক্সা হালকা যানবাহন এবং দেশীয় প্রাণ, আকিজ গ্রুপসহ এই ধরণের সমমানের কোম্পানি যারা রড সিমেন্ট থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সকল ধরণের সামগ্রী উৎপাদন ও বিপনন করছে এবং মাঠ পর্যায়ে এই সকল কোম্পানি বিপনের জন্য এই সকল কোম্পানি যাদের প্যাকেট যাতক মূল্য বিপনন বিক্রী করছে এই কোম্পানির সেলসকর্মী হিসেবে কৃষক পরিবারের অল্প শিক্ষিত যুবকদেরকে টানছে। ফলে কৃষি ঋণ নেওয়ার এই সকল পরিবারের চাহিদাও কমেছে।
বর্তমানে কৃষিখাতকে বাচিয়ে রাখছে প্রান্তিক ভূমিহীন কৃষক এবং এরা অন্যের জমি বছরে বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করে। কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে দলিল বা পর্চাসহ কাগজপত্র দিয়ে ঋণ নিতে হয় এই সকল প্রান্তিক কৃষকদের জমি না থাকায় তারা এনজিওর ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচি এবং সম্প্রতি সরকারের কর ফাকি দিয়ে গ্রাম গঞ্জে গড়ে ওঠা ক্ষুদ্র এনজিও থেকে চড়া সুদ দিয়ে চাষাবাদের জন্য সহজেই ঋণ নিতে পারছে এবং সেখানে তাদের কোন দলিল, পর্চা প্রয়োজন হয় না বিধায় পরিচিত জামিনদার সাক্ষী রেখে ঋণ প্রদান করে থাকে।