স্টাফ রিপোর্টার:জমি জবরদখলের মামলায় সাক্ষী হওয়ায় বরিশালে জাহিদুল্লাহ নামে এক যুবককে যখম করার অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।
আহত জাহিদুল্লাহ বরিশাল নগরীর ২২ নং ওয়ার্ডের নবগ্রাম রোডের মৃত নজির উল্লাহ’র ছেলে।
হামলার ঘটনায় আহত জাহিদুল্লাহ স্ত্রী শাহানা বেগম (৪২) বাদী হয়ে গত ২০ জুলাই বরিশাল বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে এহসান ইসলাম ইশাদ (২৭),তানভিরুল ইসলাম বাপ্পি (৩৮),তানজিনা সুলতানা (৪০), জিনাৎ সুলতানা (৩৪) অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এম,পি মামলা নাম্বার ২৪৪/২০২৩। বরিশাল মেট্রোপলিটন আমলী আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো: নুরুল আমিন মামলার অভিযোগ আমলে নিয়ে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন।
এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এস,আই সেলিম বলেন, মামলার তদন্ত চলছে। আগামী ১০ ই ডিসেম্বর’র প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হবে ।
মামলার বাদী শাহানা বেগম বলেন, আমার স্বামী জাহিদুল্লাহ গত ১৭ ই জুলাই রাত আনুমানিক পৌনে ১১ টার দিকে কাজ শেষে বাড়ি ফিরতেছিল। ফেরার পথে কোতোয়ালী থানা এলাকার গির্জা মহল্লার লেচুর শাহ মাজার অতিক্রম কালে আসামি এহসান ইসলাম ইশাদ (২৭),তানভিরুল ইসলাম বাপ্পি (৩৮), তানজিনা সুলতানা (৪০), জিনাৎ সুলতানা (৩৪) অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন জাহিদুল’র উপরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্বামী জাহিদুল্লাহ’র উপরে হামলা চালায়।
হামলায় তার একটি দাঁত পড়ে যায়, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় যখম ও কালাফুলা দেখা দেয়।
পরে স্থানীয় লোকজন আহত জাহিদুল্লাহ’কে উদ্ধার করে ও স্বজনদের খবর দিয়ে বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন।
হামলার কারণ জানতে চাইলে আহত জাহিদুল্লাহ বলেন, আমার ফুপু রওশনারা বেগম আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে জমি জবরদখলের বেশ কয়েকটি মামলা করেন। ওই মামলায় আমি ৪ নং সাক্ষী। উক্ত মামলা আদালতে চলমান। আমি মামলায় সাক্ষী হওয়ার কারণেই আসামিরা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে এই বর্বর হামলা চালিয়েছে। আমি এই হামলার যথাযথ বিচার চাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, আসামী জাফরুল্লাহ শহরের গীর্জামহল্লায় আরজু বোডিং এর মালিক। তার ভাতিজা তানভিরুল ইসলাম বাপ্পীর বিরুদ্ধে জাফরউল্লার ৫ বোন ও একভাইয়ের ছেলেরা তাদের পৈতৃক জমি আত্মসাতের অভিযোগে ইতিপূর্বে আদালতে ৭ টি মামলা দায়ের করেন যা চলমান। মূলত এই মামলার কারনেই জাফরুল্লাহ গং আমাদের উপর ক্ষিপ্ত আসামিরা যেকোনো সময় আমাকে হত্যাও করতে পারেন। আমি প্রতিনিয়ত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।