More

    ৪ মাদ্রাসা ছাত্রকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ শিক্ষক পলাতক

    অবশ্যই পরুন

    মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ মাদারীপুরের কালকিনিতে এক শিক্ষকের বেত্রাঘাতে ৪ মাদ্রাসা ছাত্র আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে এক ছাত্রের আঙ্গুল এবং অন্য এক ছাত্রের হাত যখম হয়েছে।

    ভুক্তভোগীরা উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের খাশের হাট বন্দরের খাশের হাট নূরানীয়া হাফিজিয়া এতিম খানা মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও একই গ্রামের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার ২৪ নভেম্বর রাতে এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় নিন্দার ঝড় সৃষ্টি হয়।

    তবে অভিযুক্ত শিক্ষক তোফায়েল আহম্মদ ঘটনার পর থেকেই পালাতক রয়েছেন। পরে আজ শুক্রবার সকালে খবর পেয়ে ইউএনও এবং থানার ওসি ঘটনাস্থল পরির্দশ করেন। এ ঘটনায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

    পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে মাদ্রাসার ছাদে ছাত্ররা খেলা করছিল। এ সময় একটি মুখপোড়া হনুমান এসে ওই  ছাদের উপর বসে। এ সময় ছাত্ররা হনুমানকে বেশ কিছু ঢিল ছুড়ে মারে। এ ঢিল ছুরার ঘটনায় মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের কাছে বিচার দেয়া হয়।

    পরে ওই প্রধান শিক্ষক তাদেরকে বকাঝকা শেষে আসরের নামাজ পড়তে চলে যান। এর পর মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক হাফেজ তোফায়েল আহম্মেদ ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ঘটনার জেরে ৪ শিক্ষার্থী আবির হোসেন, সাব্বির আহম্মেদ, সাইম প্যাদা ও জোবায়েরকে বেতদিয়ে পিটিয়ে আহত করেন।

    এরপর আহতরা চিৎকার করলে তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাথি, কিল ঘুষি দিয়ে জখম করেন। এতে সাইম প্যাদার হাত যখম হয় ও আবির হোসেনের বাম হাতের আঙ্গুল ভেঙ্গে যায়। তারা উভয় প্রথম জামাতের ছাত্র। এ ঘটনা জানাজানি হলে অভিভাবকা এসে মাদ্রাসা ঘিরে রাখে।

    এ সময় স্থানীয় প্রভাবশালিরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করেন। এ সুযোগে অভিযুক্ত শিক্ষক তোফায়েল আহম্মদ পালিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস ও কালকিনি থানা ওসি নাজমুল হাসান ঘটনা স্থানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।

    পরে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের বাড়িতে গিয়ে তাদের ও তাদের বাবা মায়ের সাথে এ বিষয় আলোচনা করেন। পরে শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যাবস্থা করেন। এ ঘটনায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। আহত শিশু শির্ক্ষার্থী মো. আবির হোসেন কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমিসহ আমাদের চারজনকে মাদ্রাসার দরজা বন্ধ করে হাতে, পিঠে, পায়ের নিচে ও শরীরের বিভিন্নস্থানে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে এবং লাথি দেয় আমাদের হাফেজ হুজুর।

    আহত শিক্ষার্থীর পিতা নাসির খান বলেন, তোফায়েল হুজুরে পিটিয়ে আমার ছেলের আঙ্গুল ভেঙ্গে দিয়েছে। আমি তার বিচার চাই।  অভিযুক্ত শিক্ষক তোফায়েল হোসেন বলেন, এই ঘটনায় আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির একজন সদস্য ক্ষোভের সাথে বলেন, শিক্ষকদের কাজ শিক্ষা দান করা।

    কিন্তু আমাদের মাদ্রাসার র্শিক্ষকরা এমন কাজ করেছে যা মেনে নেয়া যায় না। তবে আমাদের কমিটির সমন্বয়হীনতার কারনে বার-বার এ ধরনের কাজ করার সাহস পাচ্ছে শিক্ষকরা।  কালকিনি থানার ওসি মো. নাজমুল হাসান বলেন, শিক্ষদের এমন কাজ মেনে নেয়া যায় না।

    এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনা স্থানে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনেছি। পরে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের বাড়িতে গিয়ে তাদের ও তাদের বাবা মায়ের সাথে এ ব্যাপারে আলোচনা করেছি। এর পরপর শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যাবস্থা করেছি। ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিদ্রুত এ অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    গণমাধ্যম কর্মী রিফাত হোসেন (জামাল) অসুস্থ, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে ভর্তি

    গণমাধ্যম কর্মী রিফাত হোসেন (জামাল) বেশ কিছুদিন ধরে লিভারজনিত জ্বরসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে...