স্টাফ রিপোর্টারঃ বরিশাল মহানগর সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এ কে এম জাহাঙ্গীরের বহিষ্কার চেয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাংশ।
শনিবার বেলা ১১টায় বরিশাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সভা শেষে নগরীতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে নেতাকর্মীরা। এসময় তারা জাহাঙ্গীরের বহিষ্কার করে নবনির্বাচিত মেয়র খোকন সেরনিয়াবাতকে প্রধান করে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানান।
এর আগে গত ২৯ নভেম্বর মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বরিশালে শান্তি সমাবেশ হয়। তখন সেই সমাবেশে বক্তৃতায় কেএম জাহাঙ্গীর, বরিশাল সদর আসনের নৌকার প্রার্থী পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘ভোটে জালিয়াতির সুযোগ নেই।
প্রশাসনকে ব্যবহার করে ভোটের বাক্স ভরবেন সেই সুযোগ দেওয়া হবে না।’ ওই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তাকে দল থেকে বহিস্কারের দাবি তুলে এই কর্মসূচি হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তৃতা দেন, মহানগর আলীগের সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট আফজালুল করিম, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট আনিচ উদ্দিন শহীদ, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হক খান মামুন, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল হক হারুন
, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট লস্কর নুরুল হক, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক নিজামুল ইসলাম নিজাম, শ্রমিকলীগ নেতা শাজাহান হাওলাদার, কাউন্সিলর এনামুল হক বাহার, যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা অসীম দেওয়ান, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন, মঈন তুষার প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহীদ মিনার থেকে সদর রোড হয়ে অশ্বিনী কুমার হলের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এই ঘটনায় নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, শান্তি সমাবেশে যা বলেছেন ঠিক বলেছেন, তার বক্তব্য শুনলেই বোঝা যাবে তিনি কি বলতে চেয়েছেন।
এটা নিয়ে যারা হেয়প্রতিপন্ন করতে চায় তারা কারা? অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনে বরিশাল সদর আসনে নৌকার মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বর্তমান সংসদ সদস্য ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামিমকে।
তার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সদ্য সাবেক সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।
নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সাদিক আব্দুল্লাহ অনুসারী হিসেবে পরিচিত।