More

    ঝালকাঠিতে সরিষার বাম্পার ফলনে বাড়ছে চাষ

    অবশ্যই পরুন

    স্টাফ রিপোর্টারঃ ঝালকাঠিতে সরিষার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। জেলায় গত বছর সরিষার ফলন ভালো হয়েছে। তাই কম খরচে বেশি ফলনের আশায় এ বছরও চাষাবাদ করেছেন কৃষকেরা। উঁচু জমিতে আবাদ করা আমন ধান গোলায় তুলে হেমন্তের শেষদিকে সরিষার বীজ বপন করেছিলেন। আর কিছুদিন পরই এ শস্য ঘরে তুলতে পারবেন।

    সরিষা চাষি কাঞ্চন আলীসহ কয়েকজন বলেন, ‘গত বছর সরিষার ভালো ফলন হয়েছে। এবারও সরিষা চাষ করেছি। কৃষি অফিস থেকে সরকারি প্রণোদনায় ভালো বীজ ও সার পেয়েছি। কৃষি কর্মকর্তারা আমাদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে হাতেকলমে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। আমরা আশাবাদী এবার বাম্পার ফলন হবে। গত বছরের চেয়ে এবার আবহাওয়া অনুকূলে আছে।’

    সরিষা ক্ষেত দেখতে আসা সবুজ হাওলাদার ও তপন দাস বলেন, ‘চলতি শীত মৌসুমে মাঠে মাঠে সবুজের ডগায় সরিষা ফুলের সমারোহ, মৌমাছি, ভ্রমর বিভিন্ন প্রজাতির প্রজাপতি, মৌ মৌ ঘ্রাণ, এবং পাখির গুঞ্জনে মনোমুগ্ধকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ফুলের সৌন্দর্য দেখতে আর সুবাস নিতে এসেছি। ছবিও তুলেছি। সরিষা লাভবান ফসল। কম খরচে বেশি লাভ হয়। তাই বেশি বেশি সরিষা চাষ করা প্রয়োজন।’

    ঝালকাঠি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘সরিষা লাভজনক ফসল। গত বছর জেলায় ৮০৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছিল। ফলন ভালো হওয়ায় এবার ১ হাজার ১৭ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে কৃষকেরা ফসল ঘরে তুলতে পারবেন।’

    তিনি বলেন, ‘এক হেক্টর জমিতে ৩-৪ মণ সরিষা পাওয়া যাবে। ১ কেজি সরিষা থেকে ৩৫০ গ্রাম থেকে ৪০০ গ্রাম তেল পাওয়া যায়। সরকারি ভাবে কৃষকদের সার ও বীজ প্রণোদনা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। সার্বক্ষণিক মাঠে-ময়দানে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি আমরা।’

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    দুমকিতে জামাতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

    মেহেদী হাসান শান্ত, দুমকি প্রতিনিধিঃ ২০০৬ সালের (২৮অক্টোবর) আওয়ামীলিগের লাঠি- বৈঠার তাণ্ডব নৃশংসতা ও বর্বরতায় খুনিদের বিচারের দাবিতে বাংলাদেশ...