বরিশালের আগৈলঝাড়ায় গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে কনেকে উপস্থিত অতিথির সামনে চুমু দেওয়ায় প্রেমিককে গনধোলাই দিয়ে পুলিশে দিলেন স্থানীয়রা। দরিদ্র পরিবারের মেয়ে হাবিবার বিয়ে ভেঙ্গে গেছে। এঘটনায় কনের মা বাদী হয়ে আগৈলঝাড়া থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ প্রেমিককে গ্রেপ্তার করে বরিশাল আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করেছে।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের বাগধা গ্রামের মৃত পনির সরদারের মেয়ে হাবিবা আক্তারের সাথে স্কুলে পড়াশুনার সময় থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে পার্শ্ববতীর্ উজিরপুর উপজেলার সাতলা গ্রামের ছত্তার হাওলাদারের ছেলে জিহাদ হাওলাদারের সাথে।
দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কের পরে প্রেমিক জিহাদ হাওলাদার অন্যত্র বিয়ে করেন। এদিকে প্রেমিকা হাবিবা আক্তারের সাথে সাতলা গ্রামের শহিদ হাওলাদারের ছেলে সাইফুদ্দিন হাওলাদারের বিয়ের কথাবার্তা ঠিক হয়। সেই অনুয়ারী গত ২৪ ফেব্রুয়ারী রাতে কনে হাবিবা আক্তারের নিজ বাড়িতে গায়ে হলুদ দিতে আসেন বর পক্ষের লোকজন।
কনের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান চলাকালে কনের পূর্বের প্রেমিক জিহাদ হাওলাদার ওই বাড়িতে এসে উপস্থিত লোকজনের সামনে বসে প্রেমিকা হাবিবা আক্তারকে চুমু দেয়। এঘটনা স্থানীয়রা দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রেমিক জিহাদকে ধরে গনধোলাই দিয়ে ওই রাতেই আগৈলঝাড়া থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।
এঘটনায় হাবিবার মা হনুফা বেগম বাদী হয়ে আগৈলঝাড়া থানায় ২৪ ফেব্রুয়ারী রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করলে গ্রেপ্তারকৃত জিহাদকে ২৫ ফেব্রুয়ারী দুপুরের পরে বরিশাল আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
এঘটনার পরে বর সাইফুদ্দিনের পিতা শহিদ হাওলাদার পূত্র বধু হিসেবে দরিদ্র হাবিবাকে মেনে নিবে না বলে মেয়ের পরিবারকে জানিয়ে দেয়। এব্যাপারে হাবিবার মা হনুফা বেগম বলেন, আমাদের জায়গা জমি নেই। আমার স্বামী একজন দরিদ্র কৃষক ছিলেন।
স্বামীর মৃত্যুর পরে নয় বছর ধরে অন্যের সাহায্যে এক ছেলে দুই মেয়ে নিয়ে চারজনের সংসার কষ্টের মধ্যে চালিয়ে আসছি। মেয়ের বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ায় মহা বিপদে পরেছি।
এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শফিকুল ইসলাম বলেন, গায়ে হলুদের আসরে কনেকে চুমু দেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
অভিযুক্ত ছেলে জিহাদকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরন করেছি। আমরা বর সাইফুদ্দিন হাওলাদারের পরিবারের সাথে কথা বলে কনে হাবিবাকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।