শেখর থেকে শিখরে বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র পার্বত্য শান্তি চুক্তির প্রণেতা মাননীয় মন্ত্রী বরিশাল জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র সুযোগ্য উত্তরসূরী বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য বরিশাল বিভাগীয় যুব সমাজের আইকন সেরনিয়াবাত আশিক আব্দুল্লাহ।
সম্প্রতি বরিশাল বিভাগীয় বেবীহোমে অনাথ আশ্রিত ৯০দিনের শিশুকে বুকে টেনে নিলেন অসহায় মানুষের বিশ্বাসের নেতা যুবরত্ন সেরনিয়াবাত আশিক আব্দুল্লাহ। এসময় তিনি অনাথ শিশুদের খোজ খবর নেন। সম্প্রতি তিনি কোদালধোয়া গ্রামের কৃষকদের কথা চিন্তা করে ৬ কিলোমিটার খালের কচুরীপানা নিজ অর্থায়নে পরিস্কার করান।
এছাড়া গৌরনদী—আগৈলঝাড়া উপজেলার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রতিনিয়ত যোগদান করছেন তিনি। আশিক আব্দুল্লাহ’র নেতৃত্বে একঝাঁক তরুণ তৃণমূল জনগোষ্ঠীর কাছে নৌকা প্রতীক পেঁৗছে দিতে সক্ষম হয় সবসময়। নতুন প্রজন্মের কাছে দলের আবেদন বাড়াতে আশিক আব্দুল্লাহকে অনেক কিছু করতে হবে বলে মনে করেন দলীয় নেতা—কমীর্রা।
বরিশাল জেলা আওয়ামীলীগ নেতা আশিক আব্দুল্লাহ মনে করেন, ছাত্রলীগ—যুবলীগকে গঠনমূলক কর্মকাণ্ডে উৎসাহী করতে হবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও ক্ষমতার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে পরিকল্পনা নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজে নামতে হবে। যোগ্য ও জনগণের নেতাকে কাছে টানতে হবে।
দেশ—বিদেশের রাজনীতিকে পর্যবেক্ষণ করে নিজেদের কৌশলপত্র প্রণয়ন ও সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধিতে নিয়োজিত হতে হবে। আওয়ামী লীগের নেতা—কর্মীকে বাধ্যতামূলক প্রযুক্তিমুখী করতে হবে। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছেন আশিক আব্দুল্লাহ। তিনি ভাগ্য পরিবর্তনের আইকন।
তিনি বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য। তার সুযোগ্য নেতৃত্ব ও পরামর্শে পরিচালিত নতুন জীবনের সন্ধান দিচ্ছেন যুবসমাজকে। নতুন প্রজন্মকে রাজনৈতিকভাবে সচেতন করে তুলতে নেওয়া বিভিন্ন কর্মসূচি অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
একইসঙ্গে তরুণ প্রজন্মকে করে তুলেছে উজ্জীবিত। আসলে আশিক আব্দুল্লাহ রাজনৈতিক কোনো বড় পদে না থাকলেও আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি সুপরিচিত নাম। বিশেষ করে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায় থেকেও তার কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
তার হাতেই দেশ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা জাগ্রত থাকবে। এই নেতা বাংলা ও বাঙালির আশার প্রতীক হবেন। আশিক আব্দুল্লাহ দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন বলে সকলের বিশ্বাস। রাজনৈতিক দক্ষতা, দলীয় আনুগত্য ও পরিপক্বতা থাকায় দলীয় নেতাকর্মীরা আশিক আব্দুল্লাহকে দলের মূল ধারার রাজনীতিতে পুরোপুরি সক্রিয় দেখতে চান নেতা—কমীর্রা।
তখন থেকেই তারা মনে করেন, আধুনিক প্রযুক্তিশীল যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দলকে এগিয়ে রাখতে তরুণ নেতৃত্বের বিকল্প নেই। তাছাড়া বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র হিসেবে রাজনীতিতে তার অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন সকলে। বাংলাদেশে যে গণতান্ত্রিক ধারা বহমান তা বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি’র যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে আশিক আব্দুল্লাহ এই তৃতীয় প্রজন্মের নতুন নেতৃত্বের প্রতি আমাদের সকল আকর্ষণ এখন কেন্দ্রীভূত। বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর বাংলাদেশে নেতৃত্বের বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছিল।
উপমহাদেশের রাজনীতিতে পারিবারিক ঐতিহ্য একটি ব্যাপক বিস্তারি প্রসঙ্গ। ভারতের দিকে তাকালে বর্তমান রাজনীতির পারিবারিক ধারা সবচেয়ে বেশি লক্ষ করা যায়। জওহরলাল নেহেরু গান্ধীর কন্যা ইন্দিরা গান্ধী তার পিতার যোগ্য উত্তরসূরি ছিলেন। ইন্দিরা গান্ধীর সময় মোরালি দেশাইয়ের মতো অনেক যোগ্য নেতা থাকলেও ইন্দিরা গান্ধীই হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
জুলফিকার আলী ভুট্টো, তার কন্যা বেনজীর ভুট্টো, বেনজীরের স্বামী ও ছেলের রাজনীতিতে সম্পৃক্ততা যেমন সত্য তেমনি শ্রীলঙ্কার বন্দরনায়েক পরিবারের রাজনৈতিক পরিচয় লক্ষণীয়। ঠিক একইভাবে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতারা ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনাকেই রাজনৈতিক মঞ্চে নিয়ে এসেছিলেন।
আশিক আব্দুল্লাহ’র ভেতর রয়েছে বঙ্গবন্ধুর মতো জনগণের সঙ্গে মেশার তাগিদ। রয়েছে পরিশ্রমী ও তারুণ্যের প্রাণময়তা। তিনি মূলত বঙ্গবন্ধুর মতোই তরুণসমাজকে আশাবাদী করে জাগিয়ে তোলার জন্য কাজ করে চলেছেন। একসময় তার মতো বয়সে বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষকে জাগিয়েছিলেন; আশিক আব্দুল্লাহও তেমনি নির্বাচনে জয়ী এবং ইশতেহার বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগকে পরামর্শ দিতে সক্ষম হয়েছেন।
তিনি মানুষকে সবসময় উজ্জীবিত করেছেন। আমাদের মতে, শেখ হাসিনা যেমন নির্লোভ, মানুষকে ভালোবাসেন নিজের অন্তর থেকে আশিক আব্দুল্লাহকেও তেমনিভাবে এগিয়ে যেতে হবে। সকল মানুষের মন জয় করতে হবে।
এজন্য ছাত্রলীগ—যুবলীগকে কাজে লাগাতে হবে। সাধারণ মানুষকে শেখ হাসিনা সরকারের কর্মসূচি ও সাফল্য বর্ণনা করতে হবে। এদেশে বিএনপির মতো দলের অপপ্রচার মোকাবেলা ও সরকারের সফলতা জনগণের সামনে তুলে ধরতে ভিন্ন রকম কৌশলী হতে হয়েছে। তাই বিরোধী দলের অপপ্রচারের জবাব দিতে দলীয় নেতাকর্মীদের উৎসাহ প্রদান করতে হবে।
আশিক আব্দুল্লাহ’র নেতৃত্ব রাজনীতিতে ইতোমধ্যে তরুণদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তার প্রাণবন্ত উপস্থিতি তরুণদের সামনে এগিয়ে যাবার প্রত্যাশায় উজ্জীবিত করেছে। তিনি তরুণ শিক্ষার্থীদের নতুন চিন্তাকে পৃষ্ঠপোষকতা দান করেছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধনমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দাদা কৃষক কুলের নয়নমনি শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ও পিতা আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র মতো আন্তরিক হৃদ্যতায় সাধারণ মানুষকে কাছে টানার অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে তার। কারণ তিনি যে মানুষের জন্য আত্মত্যাগ করতে এসেছেন তা বোঝা সহজ। প্রকৃত দেশপ্রেমিকের পক্ষে দেশ ও জাতির জন্য কাজ করাটাই স্বাভাবিক।
আশিক আব্দুল্লাহ’র মতো নতুন প্রজন্মের নেতৃত্ব আমাদের রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা ঘটাবে। রাজনীতিতে নতুন প্রজন্মের পদচারণা আমাদের এগিয়ে চলার পথে বাড়তি প্রাপ্তি। এটা ঠিক যে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগ এখনো রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী দল। এখানে অন্য কোনো দলের এতো শক্তি নেই যে তারা রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগের সমান হতে পারে।
তাছাড়া আওয়ামী লীগের যে গৌরবময় ইতিহাস—ঐতিহ্য রয়েছে তা অন্য কোনো দলের নেই। আশিক আব্দুল্লাহ সেই গৌরবকে কাজে লাগিয়ে সামনে এগিয়ে যাবেন। বঙ্গবন্ধু মানুষের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। পাকিস্তানি শাসকদের ফাঁসির ভয়কে উপেক্ষা করেছেন; জেল খেটেছেন মাসের পর মাস।
সেই ত্যাগী নেতার নাতি হিসেবে আশিক আব্দুল্লাহকে মনে রাখতে হবে, দেশের মূঢ়, মূক মানুষের মুখে দিতে হবে ভাষা। তাদের কাছে পৌঁছাতে হবে বঙ্গবন্ধুর পরিচয় নিয়েই। জাতির পিতা নিজের সন্তানকে রাজনীতিতে এনেছিলেন। আর তা ছিল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনাকে টিকিয়ে রাখার জন্য। পারিবারিক পর্যায়ে তিনি যা করেছিলেন তা ছিল দেশের স্বার্থে, মানুষের মঙ্গল চিন্তা করে। আশিক আব্দুল্লাহ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রচারে নিষ্ঠার পরিচয় দিচ্ছেন। জনগণের প্রত্যাশা নতুন ও আধুনিক একটি বাংলাদেশের জন্য উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে।
আগামী দিনের নেতৃত্বে মেধাবী, সৎ, ত্যাগী ও প্রযুক্তিতে স্বনির্ভর তরুণদের সুযোগ দিলে দলের পাশাপাশি জাতি উপকৃত হবে। ভিশন—২০৪১ বাস্তবায়নে দলকেই মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। বিতর্কিত, অযোগ্য ও সুবিধাবাদী প্রভাবশালী নেতাদের চেয়ে তরুণরা নিঃসন্দেহে বেশি অবদান রাখতে পারবেন। রাজনীতি স্থিতিশীল রাখা এবং অর্থনৈতিক পরিকল্পনাগুলোর বাস্তবায়ন গতিশীল করার জন্য ভালো নেতৃত্ব দরকার।
আর দেশের কল্যাণের স্বার্থেই আশিক আব্দুল্লাহ’র মতো তরুণকে দেখতে জনগণ উন্মুখ। তার নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হলে আওয়ামী সমর্থক সকলেই খুশী হবেন। কারণ তিনি মানুষকে স্বপ্ন দেখাতে পারেন। আগেই বলেছি, আওয়ামী লীগকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে নেতৃত্ব ও উন্নয়নকে একইসঙ্গে আলিঙ্গন করতে হবে।
আশিক আব্দুল্লাহ হঠাৎ আবির্ভূত নেতা নন। তিনি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। তার আছে দৃঢ়চেতা অভিভাবকবৃন্দ। যিনি সকল বিষয়ে সুপরামর্শ দিতে পারঙ্গম। শেখ হাসিনা সরকার পরিচালনায় আশিক আব্দুল্লাহ যেমন তৎপর তেমনি নিজের নতুন নতুন ভাবনা—চিন্তা নিয়ে জনসমক্ষে হাজির হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।