বরিশালের আগৈলঝাড়ায় অবৈধ ড্রেজার দিয়ে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করে আসছে রাজিহার গ্রামের সেলিম ফকির ও বড়মগরা গ্রামের জন বাড়ৈ।
এতে পাশ্ববতীর্ বাড়ি ও জমি ভেঙ্গে ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। প্রশাসনকে জানালেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। যার কারণে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অহরহ ভাবে এই অবৈধ মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছে প্রভাবশালীরা। তাদের বাঁধা দিলেও তারা প্রভাবশালীদের দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের কোদালধোয়া গ্রামে গত কয়েকদিন ধরে গফুর খানের ছেলে অসীম খান বড়মগরা গ্রামের জন বাড়ৈর অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে নিজেদের পুকুর থেকে বালু উত্তোলন করে আসছে। এতে ভাঙ্গনের মুখে পরেছে পাশের ঘেরের পাড় ও জমি।
এব্যাপারে অবৈধ ড্রেজার মেশিনের মালিক জন বাড়ৈর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, উপজেলার অনেক স্থানেই এই মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। সবার মেশিন বন্ধ হলে আমার মেশিনও বন্ধ করা হবে। পরে এক প্রভাবশালীদের দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন জন বাড়ৈ।
এছাড়াও উপজেলার রাজিহার গ্রামের সেলিম ফকির তার নিজের ঘের থেকে বিবেক পাত্রের অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন লোকজনের কাছে বিক্রি করে আসছে। এর ফলে ওই ঘেরের পাশের জমি ও ঘেরের পাড় ভেঙ্গে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
এব্যাপারে সেলিম ফকির বলেন, আমার নিজের জায়গা থেকে মসজিদের জায়গা ভরাটের জন্য একটু বালু দিচ্ছি। অন্য কারো কাছে বালু বিক্রি করছি না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও কয়েকজন স্থানীয়রা জানান, এলাকাবাসী বেশ কয়েকবার অভিযুক্তদের কাজে বাঁধা দিলেও তারা কারো কথায় কর্ণপাত করেনি। তারা কৃষি জমি ও ঘেরের পাড় রক্ষায় সংশ্লিষ্টদের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি করেছেন।
এব্যাপারে আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) উম্মে ইমামা বানিন বলেন, বালু উত্তোলন না করার জন্য সরকারি নির্দেশ রয়েছে। তারপরেও যদি কেউ বালু উত্তোলন করে থাকে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।