পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গোল গাছের গুড় প্রক্রিয়জাতকরণ ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন বিষয়ক পাঁচ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। বুধবার পটুয়াখালীর কলাপাড়ার পাখীমারা পানি জাদুঘর সভা কক্ষে কৃষি বিপণ অধিদপ্তর পরিচালিত স্মল হোল্ডার অ্যাগ্রিকালচার কমিম্পটিটিভনেস প্রজেক্ট (এসএসিপি) প্রকল্পের আওতায় এ প্রশিক্ষণ শুরু হয়।
কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আরাফাত হোসেনের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসএসিপি্র কম্পোনেন্ট পরিচালক ড. মোহাম্মাদ রাজু আহমেদ। কলাপাড়া উপজেলায় ৫টি ইউনিয়নে অন্তত ৩০০ ছোট বড় চাষি গোলের গুড় তৈরি পেশার সাথে জড়িত।
এই চাষীদের ৬০—৭০ শতাংশ চাষি তাদের উৎপাদিত গুড় স্থানীয়ভাবে বিক্রয় করে ও কিছু চাষি জেলার বাহিরে সীমিত আকারে বিক্রয় করে। গোলপাতার গুড় চাষীদের নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতিতে গুড় তৈরি, বোতলজাত ও বাজারজাত করণ এবং বিএসটিআই এর সনদ প্রাপ্তিতে করণীয় বিষয়ে সচেতন করতে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।
যাতে অংশ নেয় গোলের গুড় উৎপাদনে সফল ২৫ নারী ও পুরুষ। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত চলবে তাদের এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। এসএসিপি্র কম্পোনেন্ট পরিচালক ড. মোহাম্মাদ রাজু আহমেদ বলেন, প্রতিবছর উপকূলীয় এলাকা থেকে গোল গাছ কমে যাচ্ছে।
অথচ সঠিক ভাবে গোল গাছ রোপণ ও পরিচর্যা করলে কয়েক বছরেই এ গাছ থেকে গোলের রস, ফল ও পাতা বিক্রির পাশাপাশি গোল গাছের রসের গুড় সঠিকভাবে উৎপাদন ও বাজারজাত করলে অন্য ফষলের চেয়ে চাষীরা বেশি লাভবান হবে। তাই গোল গাছ চাষীদের সচেতন ও বাজারজাত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্য এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।