বরিশালের আগৈলঝাড়ায় সরকারের পেনশন, প্রতিবন্ধী ভাতা, টিসিবি, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ড ও ডিলারসহ একাধিক সরকারি সুবিধা ভোগ করে আসছে একটি পরিবার।
সরকারি সুবিধাভোগী ওই ব্যক্তি সরকারি জায়গা দখলসহ মন্দিরের টিন নিজের ঘরে ব্যবহারেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এঘটনায় স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সমাজসেবা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া গ্রামের মুক্তেশ সরকারের ছেলে মনিশংকর সরকার প্রতিবন্ধী না হয়েও নিজের নাম ও ছেলে হিমেল সরকারের নামে রয়েছে প্রতিবন্ধী ভাতা। তার নিজ পরিবারের স্ত্রী হ্যাপী বাড়ৈ, মা শেফালি সরকার, ভাই মিনাল কান্তি সরকারের নামে রয়েছে সরকারের নিত্যপণ্যের টিসিবি’র কার্ড।
এছাড়াও ভাই মিনাল কান্তি সরকার ও মা শেফালি সরকারের নামে রয়েছে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীরও কার্ড। মনিশংকের পিতা মুক্তেশ সরকার ছিলেন কৃষি অফিসের উপ—সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তার মৃত্যুর পর স্ত্রী শেফালি সরকার পাচ্ছেন সরকারি পেনশনের ভাতা।
রত্নপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের নির্দেশে মোল্লাপাড়া গ্রামের মন্মথ সরকারকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগের সিদ্ধান্ত হলেও মনিশংকর প্রতারণা করে গোপনে নিজের নামে মোল্লাপাড়ার বাজারে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার হন। মনিশংকর মোল্লাপাড়া সার্বজনীন রাধা গোবিন্দ মন্দিরের টিন চুরি করে নিজের গোয়াল ঘরের চালে ব্যবহার করে স্থানীয়দের কাছে ধরা পরেন।
তখন স্থানীয়দের শালিসের সিদ্ধান্ত মোতাবেক মনিশংকর মন্দিরের ৫ বান্ডিল ঢেউটিন কিনে দেন। এছাড়াও ছয়গ্রাম—বারপাইকা সড়কের মোল্লাপাড়া বাজারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সরকারি জায়গা দখল করে মনিশংকর একাধিক আধাপাকা দোকান ঘর নির্মাণ করেছেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত মনিশংকর সরকার বলেন, খাদ্যবন্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়ে বিরোধ থাকায় আমার প্রতিপক্ষরা মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। আমার ভাই মিনাল সরকারের পৃথক পরিবার। মন্দিরের পরিত্যক্ত টিন আমার বাবা গোয়াল ঘরে না জেনে লাগিয়েছিল।
এসময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। এব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সুশান্ত বালা বলেন, আমি মনিশংকের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। রত্নপুর ইউনিয়ন সমাজকমীর্ আবু তাহের খোকা তালুকদারকে ৭ দিনের মধ্যে সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।