বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কম মূল্যে সম্পত্তি বিক্রি না করায় প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ চারজন আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় তাদের চলাচলের একমাত্র যাতায়াতের পথ বাঁশ ও নেট দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে হামলাকারীরা।
এঘটনায় এক নারীর শ্লীলতাহানীর ঘটনা ঘটেছে। উভয় পক্ষ থানায় পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের পূর্ব বাগধা গ্রামের সঞ্জয় বাড়ৈ তার বাড়ির ৯ শতাংশ জায়গা বিক্রি করার জন্য তার ঘরের সামনে বীর মুক্তিযোদ্ধা রহমান ভাট্টির কাছে প্রস্তাব দেন।
রহমান ভাট্টি ওই জায়গার যে মূল্য তার থেকে কম দিতে চান। সঞ্জয় বাড়ৈ পরে পার্শ্ববতীর্ বাড়ির মন্নান ভাট্টিকে জায়গা কেনার প্রস্তাব দিলে তিনি বেশী মূল্যে ওই জায়গা ক্রয় করতে রাজি হয়। বেশী মূল্য পেয়ে সঞ্জয় বাড়ৈ বাড়ির ৯ শতাংশ জায়গা মন্নান ভাট্টির কাছে বিক্রি করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা রহমান ভাট্টির কাছে সঞ্জয় বাড়ৈ জায়গা বিক্রি না করায় রহমান ভাট্টি ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের চলাচলের একমাত্র যাতায়াতের পথ বাঁশ ও নেট দিয়ে বন্ধ করে দেন।
এ ঘটনা নিয়ে সঞ্জয় বাড়ৈর সাথে রহমান ভাট্টির বাকবিতণ্ডার একপর্যায় রহমান ভাট্টির ছেলে মনির ভাট্টি হামলা করে সঞ্জয় বাড়ৈ, তার মা গোলাপি বাড়ৈ, স্ত্রী গৌরী বাড়ৈকে গুরুতর আহত করে। এসময় হামলাকারী মনির ভাট্টি গৌরী বাড়ৈর পরিধেয় কাপড় ছিড়ে ফেলে তার শ্লীলতাহানী ঘটায়। গুরুতর আহত তিনজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এঘটনায় রহমান ভাট্টি আহত সঞ্জয় বাড়ৈর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এঘটনায় সঞ্জয় বাড়ৈও বাদী হয়ে রহমান ভাট্টির বিরুদ্ধে আগৈলঝাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এব্যাপারে বীর মুক্তিযোদ্ধা রহমান ভাট্টি বলেন, আমার পরিবারের সাথে সঞ্জয় বাড়ৈর পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষে আমার স্ত্রী জাহানারা বেগম আহত হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।
আর আমি তাদের চলাচলের পথে বেড়া দেয়নি। ওই বেড়া সঞ্জয় নিজে দিয়ে আমাদের নাম দিচ্ছে। আমি এঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলম চাঁদ বাগধা ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবুল ভাট্টিকে দুই পক্ষকে নিয়ে বিষয়টি মীমাংসার জন্য বলেন।