বরিশালের আগৈলঝাড়ায় গ্রাম পুলিশের পরিবারের ৫ জনকে চেতনানাশক স্প্রে দিয়ে অজ্ঞান করে ঘরের মালামাল লুট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গুরুতর অজ্ঞান অবস্থায় ৫জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের পাকুরিতা গ্রামের গ্রাম পুলিশ রতন রায়ের মা সুনীতি রায় মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরে পাশ্ববর্তী গোবিন্দ মন্দিরে যায়।
পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি বাড়িতে ফিরে ঘরের সবাইকে ডাকাডাকি করলে তাদের সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘুমিয়ে পরেছে ভেবে সে নিজেও খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পরে। রাত ১টার দিকে গ্রাম পুলিশ রতন রায়ের স্ত্রীর ঝুমা বৈরাগীর কানের দুল ধরে দুবৃর্ত্তরা টান দিলে তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। পরে সেও অচেতন হয়ে পরে। গতকাল বুধবার সকালে স্থানীয়রা ঘরের দরজা খোলা পেয়ে তাদের ডাকাডাকি করলেও তাদের কোন সাড়া শব্দ না পাওয়ায় ঘরের ভিতরে অজ্ঞান অবস্থায় পরে থাকতে দেখে।
এসময় স্থানীয়রা অচেতন অবস্থায় গ্রাম পুলিশ রতন রায় (৪০), তার স্ত্রী ঝুমা বৈরাগী (২৪), তার প্রথম শ্রেনী পড়–য়া মেয়ে অনুরাধা রায় (৭), ছেলে সূর্য্য রায় (২) ও তার মা সুনীতি রায় (৬০)কে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। রতন রায়ের মা সুনীতি রায়ের জ্ঞান ফিরলে তিনি জানান, ঘরে থাকা স্বর্নালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান মালামাল দুর্বৃত্তরা নিয়ে যায়।
এব্যাপারে থানার এসআই মনিরুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এঘটনা জানতে পেরে গতকাল বুধবার দুপুরে আগৈলঝাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন।
এসময় তিনি বলেন, একাধিকবার উপজেলা আইন—শৃংখলা সভায় বিভিন্ন স্থানে চুরি, ছিনতাইর ঘটনা ঘটলেও পুলিশ প্রশাসনকে জানালেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এতে তিনি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি অনতিবিলম্বে বাইপাস সড়কে জরুরী ভাবে টহল ও পাহাড়ার ব্যবস্থার আহবান জানান।