পটুয়াখালীর কলাপাড়ার কুয়াকাটায় এলজিইডি বাংলো সংলগ্ন খাস পুকুরপাড়ে সরকারি প্রাইমারি স্কুলের বাউন্ডারি দেয়ালের পাশের অন্তত ১২টি প্রাচীন গাছ কেটে ফেলার ঘটনায় যুগান্তরসহ বিভিন্ন পত্রিকায় ও আনলাইন প্রটালে সংবাদ প্রকাশ হলে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ কমিটিকে আগামী ১৩ মে’র মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়াড় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম এ কমিটি গঠনের কথা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অচ্যুতা নন্দন দাসকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে ।
তিনি কমিটির সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন বলে জানান। কোন ধরনের সরকারি নিয়ম—কানুন না মেনে ফ্রি—স্টাইলে গত শনিবার ও রোববার ওই গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে। তবে যেখানে পৌরমেয়র গাছ কাটার কথা পরোক্ষভাবে স্বীকার করেন।
সেখানে পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে কমিটির সদস্য করা নিয়ে মানুষ প্রশ্ন তুলেছে। এছাড়া আজ অবধি কেনই বা কাটা গাছগুলো জব্দ করা হয়নি ? এনিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ এ গাছ বিক্রি করে দেয়া হয়েছে।
এনিয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম জানান, কুয়াকাটা পৌরসভা কর্তৃপক্ষ গাছগুলো কেটেছে। পৌরমেয়র আনোয়ার হাওলাদার গাছ কাটার দায় সরাসরি স্বীকার না করে স্কুলের দেয়াল গাছের কারণে ফাটল ধরেছে এবং রাস্তাটি সম্প্রসারণের জন্য গাছ কাটার স্বপক্ষে যুক্তি তুলে ধরেছেন।
পরিবেশ কমীর্রা এ ঘটনায় দায়ীদের শনাক্ত করে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান। ওই বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি অনন্ত মুখাজীর্ জানান, ওই গাছের ছায়ায় স্কুলের ছেলে—মেয়েরা খেলাধুলা করত। গাছগুলো স্কুলের। ৯৮ সালের দিকে গাছগুলো রোপণ করা হয়েছে।