বরগুনার পাথরঘাটায় জলিল চৌধুরি নামে এক প্রবাসীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে।এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা প্রেসক্লাবে লিখিত অভিযোগ দিয়ে সংবাদম্মেলন করেছেন জলিলের প্রতারণার স্বীকার হয়ে সৌদি আরবের কারাগাড় থেকে সদ্য মুক্তি পেয়ে ফিরে আসা মিজানুর রহমানসহ প্রায় ৬টি অসহায় পরিবার। অসহায় এসব মানুষ জলিল চৌধূরীর কাছে অর্থ ফেরত চাইতে গেলে হুমকি দিয়ে আসছেন বলে কান্নায় ভেঙে পরেন তারা।
পাথরঘাটা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শাহ আলম, মিজানুর রহমান, শাহিনুর বেগম, আব্দুল কাদের ও আবুল হোসেন মাস্টার। অভাবের সংসারে সচ্ছলতা আনতে প্রতারক জলিল চৌদুরীর মিস্টি কথায় ভুলে তার হাতে তুলে দেন ধার করে আনা এবং ব্যাংক ও এনজিও থেকে লোন নেয়া টাকা।
এসময় কান্না জড়িত কণ্ঠে তারা জানান, জানান, মিজানুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, মামুন মিয়া, মো. সুমন, ইমরান ও ফোরকানকে বিদেশে পাঠানো হয় পাথরঘাটা পৌরসভার বাসিন্দা আ. জলিল চৌধুরীর মাধ্যমে। কিন্তু অঙ্গীকার অনুযায়ী ঠিক মতো কাজ না দেয়ায় সৌদিতে কষ্টে দিন যাপন করছে। ঠিক মতো খেতেও পারছে না। ব্যাংক ও এনজিও থেকে লোন এবং জমি বিক্রি করে টাকা দিয়ে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু দেশে টাকা পাঠানো দূরে থাক ওখানে নিজেরাই খেতে পারছে না। সন্তানদের ফেরত পেতে চান তারা।
সৌদি আরবের কারাগাড় থেকে সদ্য দেশে আসা মিজানুর রহমান বলেন, অঙ্গীকার অনুযায়ী বিদেশে যাওয়ার পর ভিসার মেয়াদ শেষ হলে ইকামা না দেয়াড় কারণে ওই দেশের পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন জেলে থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে জলিলকে জানালে তিনি উল্টো তাকে হুমকি দিয়ে আসছেন।
ফোরকানের বাবা আ. কাদের বলেন, আমি ও ছেলে রিকশা চালাতাম অনেক কষ্ট করে জমি বিক্রি করে ছেলেকে বিদেশে পাঠাই। আজ বাবায় বড় কষ্টে আছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আ. জলিল চৌধুরি বিদেশ নোয়ার কথা স্বীকার করলেও তাদের মনোবেতর জীবন যাপনের কথা অস্বীকার করে মুঠোফোনে বলেন, আমি সরকারের নিয়ম মেনেই তাদের বিদেশে পাঠিয়েছি। শর্ত অনুযায়ী তাদের ভিসা এবং কাজ দিয়েছি। কাজ না করে যদি দেশে চলে আসে এর দায়ভার তো আর আমি নিব না। ইকামা না দেয়ায় তাদেরকে পুলিশ জেলে পাঠাচ্ছে এমন প্রশ্ন করলে তিনি কোন জবাব না দিয়ে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।