More

    আগৈলঝাড়ায় আ’লীগ নেতার ধর্ষণে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্কুল ছাত্রী

    অবশ্যই পরুন

    বরিশালের আগৈলঝাড়ায় দশম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে জোর পূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ সরদাররের (৬০) বিরুদ্ধে। এতে ওই স্কুল ছাত্রী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরেছে।

    স্থানীয় ও ভুক্তভোগী ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের উত্তর শিহিপাশা গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা রোকসোনা বেগমের বাবার বাড়িতে তার মেয়ে ও বৃদ্ধা মা বসবাস করতো। তার মেয়ে উত্তর শিহিপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।

    ফরহাদ সরদার গত সাত মাস পূর্বে রাতে ওই স্কুল ছাত্রীর ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করতে গেলে ওই ছাত্রীর বৃদ্ধা নানু হাসিনা বেগম (৭৩) বাঁধা দেয়। তখন ফরহাদ সরদার বৃদ্ধাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এসময় ওই স্কুল ছাত্রীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।

    পরবর্তীতে ওই আ’লীগ নেতা ফরহাদ স্কুল ছাত্রীর বৃদ্ধা নানু, তার মা ও তাকে এই ঘটনা কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দেয় এবং তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ওই স্কুল ছাত্রী ফরহাদের ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরলে ফরহাদ তাকে স্ত্রী সাজিয়ে ছয়গ্রাম বাজারের গ্রাম্য ডাক্তার আনোয়ারের কাছে নিয়ে যায়।

    তখন আনোয়ার বাচ্চা নষ্ট করার জন্য ওই স্কুল ছাত্রীকে বিভিন্ন ঔষধ দেয়। এই ঘটনার পরও ফরহাদ ওই মেয়ের কাছে একাধিকবার যায়

    গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ওই স্কুল ছাত্রীর পরিবার উত্তর শিহিপাশা গ্রামের ছালাম বেপারীর ছেলে কাতার প্রবাসী খাইরুল বেপারীর সাথে বিয়ে দেয়। বিয়ের তিন মাস পর স্বামীর বাড়িতে থাকাকালীন ওই স্কুল ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পরলে তার শাশুড়ি মিনারা বেগম তাকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যায়। তখন চিকিৎসক ওই স্কুল ছাত্রীকে পরীক্ষা—নিরীক্ষা করে সে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানায়। এঘটনা জানতে পেরে তার শাশুড়ি ওই স্কুল ছাত্রীকে ঘর থেকে বের করে দেয়।

    পরে ওই মেয়ের চাচা শ্বশুরের ঘরে তাকে আশ্রয় দেয়। স্থানীয় ভাবে এঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। অন্তঃসত্ত্বা স্কুল ছাত্রী জানায়, ফরহাদ সম্পর্কে আমার নানা হয়। তিনি আমাকে জোর পূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। তার ধর্ষণের ফলে আমি ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরেছি। তার কারণে আমার সংসার ভেঙ্গে গেছে। আমি তার উপযুক্ত বিচার চাই।

    বৃহস্পতিবার রাত দশটায় স্থানীয় ইউপি সদস্য শামীম ফড়িয়া, রোজিনা আক্তার, উত্তর শিহিপাশা সমাজের সভাপতি ইউছুব আলী ঘরামি, রাজ্জাক খান, আশ্রাব সরদার ও ফরহাদের ভাই মোবারেক সরদার প্রবাসী ছেলের চাচার বাড়ি থেকে ওই মেয়েকে তাদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনে।

    অভিযুক্ত ফরহাদের বড় ভাইয়ের ছেলে হাফিজুল সরদারের জিম্মায় ওই মেয়েকে রাখা হয়। এছাড়া ওই মেয়ের সন্তান জন্ম হওয়ার আগ পর্যন্ত হাফিজুল তাকে দেখভাল করবেন

    । অভিযুক্ত আ’লীগ নেতা ফরহাদ সরদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি সামাজিক ভাবে দেখা হচ্ছে। তারা যে সিদ্ধান্ত দেবে আমি তা মেনে নেবো।

    এব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম জানান, স্কুল ছাত্রী ধষর্নের কোন ঘটনা থানায় জানানো হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

    বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত...