More

    আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাচনে দুই প্রার্থীর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই

    অবশ্যই পরুন

    তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় দুইজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রচার—প্রচারণা বেশ জমে উঠেছে। এই উপজেলায় দোয়াত—কলম প্রতীকের সাথে আনারস মার্কার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে।

    প্রতীক বরাদ্দর পর দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত থেমে নেই দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রচার—প্রচারণা। কোথাও প্রার্থী নিজে উপস্থিত থেকে আবার কোথাও তার সমর্থিত লোকজন ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। মাইকিং, ব্যানার, পোস্টারে ছেয়ে গেছে হাট—বাজারসহ প্রত্যন্ত এলাকার সর্বত্র।

    প্রার্থী ও প্রার্থীর সমর্থনে দলের নেতাকর্মীরা গণসংযোগ করে উঠান বৈঠক আর হাট বাজারসহ বাড়ি বাড়ি গিয়ে হ্যান্ডবিল বিতরণের মাধ্যমে ভোট প্রার্থণা করে চলছেন। এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত (আনারস) এবং বাকাল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক যতীন্দ্র নাথ মিস্ত্রী (দোয়াত কলম)।

    বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত ১৩ মে আনারস প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই অব্যাহত প্রচারণায় মাঠে রয়েছেন। আনারস প্রতীককে বিজয়ী করতে ইতোমধ্যেই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে একাধিক সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ওই সকল সাংগঠনিক সভা ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ, পথসভা, উঠান বৈঠক করে আসছেন তার দলের নেতা—কমীর্রা। আনারস প্রতীককে বিজয়ী করতে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈকে আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ মো. লিটন সেরনিয়াবাতকে সদস্য সচিব করে গঠন করা হয়েছে।

    আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাতের আনারস প্রতীক বিজয়ী করতে দিন রাত গণসংযোগ করে যাচ্ছেন উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ মো. লিটন। দোয়াত কলমের প্রার্থী যতীন্ত্র নাথ মিস্ত্রী তার নেতা কর্মীদের নিয়ে অব্যাহত গণসংযোগ করেছেন রাজিহার, বাকাল, বাগধা, গৈলা ও রত্নপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট বাজারে।

    এদিকে পোস্টার, ব্যানার আর মাইকিং করে প্রতিনিয়ত প্রচার—প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ভোটের মাঠে দুইজন প্রার্থী থাকায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে তাদের মধ্যে বলে ধারণা করছেন সাধারণ ভোটাররা। এদিকে প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরাও।

    বিএনপি নির্বাচনে না আসায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সবাই আওয়ামী লীগের সাবেক ও বর্তমান বিভিন্ন কমিটির নেতা— কর্মী। এরা হলেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম তালুকদার (উড়োজাহাজ), উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসীম উদ্দিন সরদার (মাইক), উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সবুজ আকন (টিউবওয়েল),

    উপজেলা যুবলীগের সহ—সভাপতি সাহাবুদ্দিন মোল্লা (তালা), ছাত্রলীগ নেতা সঞ্জয় বাড়ৈ (চশমা)। নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মলিনা রানী রায় (প্রজাপতি), উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য হাফিজা ইয়াসমিন (ফুটবল),

    উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য ও সাবেক ইউপি সদস্য পবিত্র রানী রায় (কলস), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ—মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মনিকা সরকার (হাঁস)। উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে মোট ৬০টি ভোট কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ১লাখ ৩৪ হাজার ১শ ৩৩জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৬৭ হাজার ৬শ ৫৮জন এবং নারী ভোটার ৬৬ হাজার ৪শ ৭৫জন। চেয়ারম্যান পদে ২ জন,

    ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জনসহ মোট ১১জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এই উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২৯ মে।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

    বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত...