ঘুর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে কলাপাড়া উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি শনিবার সকালে এক জরুরি সভা করেছে। উপজেলা নিবার্হী সভাপতিত্ব করেন। এ সময় বক্তব্য রখেন কলাপাড়া পৌর সভার মেয়র বিপুল হাওলাদার , প্রেসক্লাব সভাপতি মো. হুমায়ূন কবির উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতার্ মো. হুমায়ূন কবির প্রমুখ।
সভায় প্রয়োজনীয় সময়ের জন্য মজিবকিল্লাসহ ১৭৫ আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের তদারকীর নির্দেশ দিয়েছে। এনজিও, সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সভায় ঠিক সময় যাতে বেড়িবাঁধের বাইরের সকল মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয় এজন্য স্বেচ্ছাসেবী টিমের পাশাপাশি পুলিশ ও আনছার টিমকে সতর্ক রাখা হয়েছে।
মেডিকেল টিম গঠন ও উপজেলায় কন্টলরুম খোলা হয়েছে। শিশু খাদ্যসহ শুকনো খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঘূর্নিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী’র (সিপিপি) উপজেলার সহকারী পরিচালক মো. আছাদ উজাজামান খান জানান, ঘূর্নিঝড় মজিবকিল্লাসহ ১৭৫ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
উপজেলায় সিপিপি’র ৩ হাজার ১শ ৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আবহাওয়া’র সংকেত বাড়লে উপরের নির্দেশন পাওয়া গেলে স্বেচ্ছাসেবকরা জনগনের জান মাল নিরাপদে প্রচারে কাজ শুরু করবেন। এদিকে কলাপাড়া উপকূলীয় এলাকার জনগন,মৎস্যজীবি ও নৌযান সমূহকে ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা জন্য জনসচেতনতা মূলক কার্যক্রম শুরু করেছে নিজামপুর কোষ্টগর্ড।
শনিবার সকালে মৎস্য বন্দর আলীপুর মহিপুরে মাইকিং ও লিফলেট বিতন করেছে কোষ্টগার্ড সদস্যরা । এসময় তারা খাপড়াভাঙ্গা নদীতে অবস্থানরত ট্রলার সমূহে অবস্থানরত জেলেদের ঘূর্নিঝড়ের সময় করনীয় বিষয়ে দিক নির্দেমনা দেন।
এরিপোট লেখা সন্ধ্যা ৭টার দিকে মাঝারি ধরেনের বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। সাগর ও নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ংারের চেয়ে দুই থেকে আড়াই ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।