More

    আগৈলঝাড়ায় পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনি এজেন্ট থাকার কারণে হামলা চালিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে বিজয়ী চেয়ারম্যান সমর্থকদের বিরুদ্ধে

    অবশ্যই পরুন

    বরিশালের আগৈলঝাড়ায় পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাতের নির্বাচনি এজেন্ট থাকার কারণে হামলা চালিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে বিজয়ী উপজেলা চেয়ারম্যান যতীন্দ্রনাথ মিস্ত্রীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের পরে সংবাদ সম্মেলনে যতীন্দ্র নাথ মিস্ত্রীর সমর্থদের বিরুদ্ধে হামলার ঘটনা বর্ণনা করেছেন ভুক্তভোগী সমীরণ বৈদ্যের পরিবার।

    গত ৯জুন পঞ্চম ধাপে আগৈলঝাড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জেলা আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত ও উপজেলা আওয়ামীলীগের বহিষ্কৃত সাবেক সাধারণ সম্পাদক যতীন্দ্রনাথ মিস্ত্রী (দোয়াত—কলম)। উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের চেয়ারম্যান প্রার্থী যতীন্দ্র নাথ মিস্ত্রীর বাড়ির পাশেই বাকাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে আনারসের এজেন্ট ছিলেন একই গ্রামের সমীর বৈদ্যের স্ত্রী নিবেদিতা বৈদ্য।

    ওই কেন্দ্রে আনারস প্রতীকের প্রার্থী আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত ২৭০ ভোট পায়। বেসরকারি ফলাফলে যতীন্দ্রনাথ মিস্ত্রী ৮শত ৮৯ ভোট বেশী পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপরেই যতীন্দ্রনাথ মিস্ত্রীর ভাই জয় মিস্ত্রীর নেতৃত্বে অর্চিত মিস্ত্রী, অমল মিস্ত্রী, অশোক সরকার, অলোক মিস্ত্রী, লিটন বাগচী আনারসের এজেন্ট নিবেদিতা বৈদ্যের বসতঘর পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিলে হামলার ভয়ে ছেলে সোহাগ বৈদ্য ও স্বামী সমীরণ বৈদ্যসহ তার পরিবারের লোকজন ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে গৈলা ইউনিয়নের পশ্চিম সুজনকাঠী গ্রামে বোন ঊর্মিলা রায়ের বাড়িতে আশ্রয় নেয়।

    গতকাল বুধবার সকালে আগৈলঝাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এঘটনা উল্লেখ করেন নিবেদিতার স্বামী সমীরণ বৈদ্য। এরপরে ১১ জুন সকালে সমীরণ বৈদ্যের ছেলে সোহাগ বৈদ্য বাদী হয়ে আগৈলঝাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পরে তারা বাড়ি ফিরে যায়। পরে নিবেদিতা বৈদ্যের বসত ঘরের পাশেই পূর্ববাকাল গোবিন্দ মন্দিরে বিজয়ী উপজেলা চেয়ারম্যান যতীন্দ্রনাথ মিস্ত্রীর সমর্থকরা জড়ো হয়ে নিবেদিতা বৈদ্যের পরিবারকে উদ্দেশ্য করে গালাগাল করতে থাকে।

    এঘটনা জানতে পেরে নিবেদিতা বৈদ্যের ভাগ্নে রনি রায় ঘটনাস্থলে কাদের ব্যাপারী, জাকারিয়া, সিয়াম মোল্লা ও আলামিন বেপারীকে নিয়ে উপস্থিত হয়ে ঘটনাস্থলের ভিডিও করতে গেলে উপস্থিত যতীন্দ্র নাথ মিস্ত্রীর সমর্থকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে তাদের উপর হামলা চালিয়ে আহত করে।

    পুলিশ খবর দিলে আগৈলঝাড়া থানার এসআই তরিকুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। সমীরণ বৈদ্য অভিযোগে আরো জানান, হামলার নির্দেশ দিয়ে নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান যতীন্দ্র নাথ মিস্ত্রী মন্দিরের পাশে অশোক সরকারের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। এব্যাপারে নবনির্বাচিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যতীন্দ্রনাথ মিস্ত্রী হামলার নির্দেশ দেওয়ার ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, এ ধরনের ঘটনার কথা আমার জানা নেই। তারা আমার নামে মিথ্যা বলছে।

    আমি নির্বাচনের পর থেকেই অসুস্থ রয়েছি। আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

    বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত...