বরগুনার পাথরঘাটায় নাচনাপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ও নাচনাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মহিউদ্দিন পান্নার ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। সোমবার (১০ জুন) দুপুর ১২টার দিকে বরগুনা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মাহবুবুল আলম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন। মহিউদ্দিন পান্নার বেআইনি রেনু বেগমের দায়ের করা একটি জখম ও মারামারির মামলায় আদালত ওই কারাদণ্ড দেয়।
মামলায় কারাদণ্ডের বিষয়টি বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ও বাদির আইনজীবী তানজিবুল হোসাইন নিশ্চিত করেছেন।
বাদি রেনু বেগমের আইনজীবী তানজিবুল হোসাইন বলেন, রেনু বেগমের ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান তার স্ত্রী লায়লা আক্তার ওরফে পপিকে ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর তালাক দেন। এ ঘটনায় আব্দুল্লাহ আল নোমানের শ্বশুর মহিউদ্দিন পান্নার সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ওই বিরোধের জের ধরে ২০১৯ সালের ৭ এপ্রিল মহিউদ্দিন পান্না তার লোকজন নিয়ে নাচনাপাড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল্লাহ আল নোমানের বাড়িতে হামলা চালায়। এতে আব্দুল্লাহ আল নোমান মাথায় গুরুতর জখমসহ তার পরিবারের একাধিক ব্যক্তি আহত হন।
এ ঘটনায় পাথরঘাটা থানায় মামলা দায়ের করা হলে ওই বছরের ২৩ মে মহিউদ্দিন পান্নাসহ তিন জনের বিরুদ্ধে পাথরঘাটা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) লিটন মল্লিক আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন। এ মামলায় গত ১০ জুন দুপুরে বরগুনা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মাহবুবুল আলম আসামিদের উপস্থিতিতে ইউপি সদস্য মহিউদ্দিন পান্নার বিরুদ্ধে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। এ মামলায় অপর দুই আসামি মিজানুর রহমান ও আব্দুল মালেককে খালাস প্রদান করা হয়।
এ ব্যাপারে রেনু বেগমের ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, নাচনাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও নাচনাপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন পান্না স্থানীয়ভাবে খুব প্রভাবশালী। তিনি পারেন না এমন কোন কাজ নাই। তাছাড়া মহিউদ্দিন পান্না একসময় খুলনার এরশাদ শিকদারের সহচর ছিলেন। এই মহিউদ্দিন পান্নার অত্যাচারে আমরা নাচনাপাড়ার বাড়ি ছাড়া হতে বাধ্য হয়েছি।