রাজধানীর শহীদ মিনারে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এই সমাবেশে এরইমধ্যে যোগ দিয়েছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
রোববার (৩ আগস্ট) দুপুর ৪টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেছে এনসিপির বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার নেতাকর্মীরা। সরেজমিনে দেখা গেছে, এনসিপির সমাবেশকে ঘিরে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা এসেছেন রাজধানী ঢাকায়। জড়ো হচ্ছেন শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে। আজ ভোরেই টেকনাফ থেকে এসেছেন আল-আমিন রহমান। বললেন, ১ দফার ঘোষক নাহিদ ভাইয়ের ডাকে সাড়া দিতে এখানে এসেছি।
তাকে একনজর দেখার ইচ্ছা। কক্সবাজার গিয়েছিল সে, তখন ভালো করে দেখতে পারেনি। আমরা নাহিদ ভাইকে নিয়ে গর্ব করি। তার নেতৃত্বে আমরা স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন ঘটাই।’তিনি আরও বলেন, এনসিপিকে আমার ভালো লাগে। এনসিপি দেশের জন্য কাজ করবে। এখানে চাঁদাবাজি ও গুম, খুন হবে না।
এদিকে আজ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইশতেহার ঘোষণার মাধ্যমে শেষ হবে জুলাই পদযাত্রা। কখনো রাতে কখনোবা দিনে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়ায় ছুটেছে নাগরিক পার্টি। রোদ কিংবা বৃষ্টিতে ভিজে মাইলের পর মাইল চষে বেড়িয়েছেন এনসিপির নেতাকর্মীরা।
দীর্ঘ এই পদযাত্রার মাধ্যমে জুলাই অভ্যুত্থানের নায়করা জনগণের কাছে পরিচয় করিয়েছেন তাদের দল এনসিপিকে। নেতারা বলেছেন, জুলাই পদযাত্রা তাদেরকে ব্যাপক জনসমর্থন জুগিয়েছে। যা জাতীয় নির্বাচনে বেশ কাজে দেবে বলে আত্মবিশ্বাস তাদের। সাড়া দেওয়ার পাশাপাশি জনগণও এনসিপি নেতাদের কাছে নানা প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেছে।
ফেব্রুয়ারিতে আত্মপ্রকাশের মাত্র পাঁচ মাসের মাথায় তৃণমূলে দলকে বিস্তৃত করতে মাসব্যাপী পদযাত্রা করে এনসিপি। এর মধ্যে গোপালগঞ্জে দলটির কর্মসূচি ঘিরে সহিংসতা ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। কক্সবাজারে বিএনপির সিনিয়র নেতাকে নিয়ে এনসিপির এক নেতার বক্তব্য ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।