ইলিশের মৌসুম ধরা হয় জুন থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত। এবার মৌসুম শুরু হলেও অধরা এই রুপালি মাছ। এদিকে দামের কারণে ক্রেতারা অসন্তোষ। ক্রেতারা জানান, বিগত যেকোনো সময়ের থেকে এবার ইলিশের দাম বেশি যা ‘অস্বাভাবিক’।
একইসঙ্গে সরকারি দপ্তরও বলছে, ইলিশের দাম এবারে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। নদীতে মাছ না পাওয়ায় কম সরবরাহ, চাঁদাবাজি এবং ডিজেলের দাম বৃদ্ধির মত কয়েকটি কারণে ইলিশের দাম চড়া বলে জানা গেছে।
ঢাকার খুচরা ও পাইকারী বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের প্রতি পিস ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১০০০-১২০০ টাকার মধ্যে। যা গত বছর বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৭০০-৮৫০ টাকার মধ্যে। যা গত বছর এক হাজার টাকার মধ্যেই পাওয়া যেত। আবার ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজি হিসেবে বিক্রেতারা ২০০০-২৩০০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি করছেন।
এদিকে যে ইলিশগুলো গত বছর বাজারভেদে কেজি প্রতি ১৬০০-১৮০০ টাকার মধ্যেই ভরা মৌসুমে বিক্রি হয়েছে। এ বছর এই ওজনের ইলিশ ২৮০০-৩৫০০ টাকা দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে। ইলিশের দাম বেশি হওয়ার কারণে বাজারেও কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
যে যেভাবে পারছেন দাম বাড়াচ্ছেন, উচ্চ মূল্য হাকাচ্ছেন। শুক্রবারে রামপুরা এবং গুলশান বাজারের মধ্যে প্রতি কেজি ইলিশের দামের পার্থক্য তিন থেকে পাঁচশ টাকা দেখা গেছে। ইলিশ বিক্রেতা জুবায়ের আলী বলেন, ইলিশ ধরা পড়ছে কম, সরবরাহও কম।
কম সরবরাহেও এবারে বরিশাল, চাঁদপুরের বিভিন্ন স্থানে গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ দাম দিয়ে ইলিশ কিনতে হচ্ছে। এ কারণে আমরাও বেশি দাম দিয়ে ইলিশ বিক্রি করছি। তিনি বলেন, দামের কারণে মানুষ ইলিশ কেনা একেবারেই কমিয়ে দিয়েছে। এবারের ইলিশের এই অস্বাভাবিক দাম ব্যবসায়ীদেরকেও অস্বস্তিতে ফেলেছে। এই অবস্থার মধ্যেই ইলিশ চেয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে চিঠি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মৎস্য ব্যবসায়ীদের সংগঠন।
গত ২৯ জুলাই পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে ইলিশ চেয়ে চিঠি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ‘ফিস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’। তারা আগামী সেপ্টেম্বরের দুর্গাপূজা উপলক্ষে ইলিশ আমদানি করতে চায়। যে চিঠিটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।