More

    কালকিনিতে হঠাৎ চুরি বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী!

    অবশ্যই পরুন

    মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ সম্প্রতি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় আবাসিক বাড়িঘর ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরি প্রবণতা বেড়ে গেছে। এতে এলাকাবাসি ও ব্যবসায়ীরা আতঙ্কের মাঝে রয়েছেন।

    উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চাতালের ধান, ব্যবসায়ীর পাট, অটো ভ্যানসহ বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক বাড়িঘরে ব্যাপক চুরিরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে থানা পুলিশের কর্মকর্তার দাবি চুরি ছিনতাই প্রতিরোধে কাজ করছে থানা পুলিশ। কয়েকদিন পূর্বে উপজেলার পৌর এলাকায় উপজেলা এক বিএনপি নেতার পাটের গোডাউন থেকে রাতের আধারে প্রায় ২ লক্ষ টাকার পাট চুরি হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    এছাড়াও উপজেলার ঝুঁরগাও এলাকার একটি ধানের চাতাল থেকে রাতের বেলায় এক ব্যবসায়ীর ২৬ মন ধান চুরির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও প্রতিদিনই অটোভ্যান চুরির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার সঠিক বিচার না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা।

    কিছুদিন আগে উপজেলা পরিষদের ১ শত গজের মধ্যে এক প্রবাসীর বাড়ীতে ঘটেছে দুর্ধর্ষ চুরি যাতে ১০ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা খোয়া গেছে ওই প্রবাসীর। তার দুই দিনের মাথায় উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুর রহমানের বাসায় (৫ তলা) একটি ফ্লাটে ঘটে চুরি। ঘটনার দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও উদ্ধার হয়নি চুরি হওয়া মালামাল।

    আটক হয়নি চোর চক্র। এতে আতঙ্ক বিরাজ করছে এলাকাবাসি ও ব্যবসায়ীদের মাঝে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালকিনি উপজেলার পুরান বাজার, ভুরঘাটাসহ এলাকার প্রধান প্রধান ব্যাবসায়িক এলাকা গুলোতে কোথাও না কোথাও প্রতিনিয়তই চুরির ঘটনা ঘটেছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে কোথাও গেলেই ঘটছে চুরি। তাই প্রতিনিয়তই আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা। এলাকাবাসীরা আরো অভিযোগ করেন, বাড়িঘর রেখে তারা কোথাও বেড়াতে যেতে পারেনা। সম্প্রতি তালা ভেঙ্গে কয়েকটি আবাসিক বাসায় দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে।

    ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর দাবি, পুলিশের টহল জোরদার না করার কারণেই বেড়েছে চুরি। এ ছাড়াও চুরির ঘটনা ঘটলে থানা পুলিশ মামলা নিতেও গড়িমসি করে। এতে ক্ষোভ বেড়েছে ব্যবসায়ীদের। ভুক্তভোগী পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বলেন, আমার বাসায় ইতিমধ্যে দুইবার চুরি হয়েছে আমি থানায় অভিযোগ করেছি। কিন্তু অভিযোগ করে কোন লাভ হয়নি, পুলিশ কোন চোর এখনো ধরতে পারেনি।

    ব্যবসায়ী হুমায়ুন মিয়া বলেন, আমরা গরিব মানুষ ঋণ করে টাকা তুলে চালের ব্যবসা করি, আমাদের এই চাতাল থেকে রাতের আধারে ২৬ মন ধান চুরির হয়ে গেছে। এভাবে হলে আমরা কীভাবে ব্যাবসা করবো। পৌর এলাকার সচিন শিকারী নামে একজন অটো ভ্যান চালক বলেন, আমি গরিব মানুষ ভ্যান গাড়ি চালিয়ে সংসার চালাই, লোন করে ২ টি ভ্যান বানিয়েছিলাম দুটি ভ্যান গাড়িই চুরি হয়ে গেছে।

    থানায় গিয়েও কোন জিডি করতে পারিনি, তারা আমাকে ভ্যান খুঁজতে বলেছে। আমরাতো প্রশাসনের কাছ থেকে কোন সহযোগিতা পাইনা। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী বলেন, আমার আশেপাশে অনেকগুলো বাসায় চুরির ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু থানায় অভিযোগ দিয়ে ও কোন রকম ফলাফল পায়নি তারা। তাই আমি আমার বাসায় চুরি হওয়ায় ঘটনায় থানায় অভিযোগ আগ্রহী নাই।

    থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম সোহেল রানা বলেন, উপজেলায় প্রায় ২ লক্ষ জনগণ রয়েছে এই ২ লক্ষ জনগণের সেবা দেয়ার জন্য আমার থানায় মাত্র ৬৫ জন জনবল রয়েছে যা অত্যন্ত অপ্রতুল। তারপরেরও আমার দিনে দুইটি মোবাইল টিম ও রাতে দুইটি মোবাইল টিম বের হয়।

    যেহেতু চুরি ছিনতাই বৃদ্ধি পেয়েছে এই লক্ষ্যে মাননীয় পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশ ক্রমে আরে দুটি মোবাইল এবং টহল টিম বৃদ্ধি করেছি যাতে চুরি ছিনতাই বৃদ্ধি কম হয়।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    ২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ০ রান বাংলাদেশের

    যতটা সম্ভব বাজেভাবে ম্যাচ শুরু করা সম্ভব, করেছে বাংলাদেশ। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দুই ওভারে কোনো রান...