স্টাফ রিপোর্টারঃ বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বরিশালে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সক্রিয় নেতা অনিক দেবনাথ। যিনি একসময় ছাত্রলীগের কর্মীসভায় বিশাল শো-ডাউন দেখিয়ে পদপ্রার্থী ছিলেন, তিনিই এখন প্রকাশ্যে ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন।
অনিক দেবনাথ বরিশাল সদর উপজেলার আওতাধীন ৯নং টুঙ্গিবাড়িয়ার ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা । তাঁর বাবা অমর দেবনাথ স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বাবা-ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলো পুরো ইউনিয়নের মানুষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পরপরই বরিশাল জেলা ছাত্রদলের এক প্রভাবশালী নেতা অনিক ও তাঁর বাবাকে আশ্রয় দেন এবং পূর্ণ রাজনৈতিক পুনর্বাসন ঘটান। এর পর থেকেই অনিক দেবনাথ ছাত্রদলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সরব হয়ে ওঠেন।
তবে এই রূপান্তরকে ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীদের মাঝে। তাঁদের দাবি, অনিক দেবনাথ ৫ আগস্টের পর ছাত্রদলে যোগ দিলেও তার আগে কখনও তিনি বিএনপি বা ছাত্রদলের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন না। বরং তাঁর অতীত ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গেই জড়িত।
অনিকের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ঘুরে দেখা যায়, ৫ আগস্টের পর থেকেই তিনি ছাত্রদলের বিভিন্ন কর্মসূচি প্রচার ও শেয়ার করছেন। যা তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান পরিবর্তনের স্পষ্ট প্রমাণবহন করছে।
এখন প্রশ্ন উঠেছে, যাদের দ্বারা অতীতে ছাত্রলীগের সহিংস কর্মকাণ্ড চালানো হয়েছে, তারাই যদি ছাত্রদলের আশ্রয় নেয়, তবে সেটা কি দলের আদর্শ ও ত্যাগী নেতাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা নয়? বিএনপির নীতি-নির্ধারকদের কাছে এখন এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে ।