More

    পাওনা আদায়ে ব্যানার টাঙিয়ে প্রতিবাদ ইনতাজ আলীর

    অবশ্যই পরুন

    ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের টঙ্গীরচর এলাকার ষাটোর্ধ্ব কাঠুরে ইনতাজ আলী ব্যাপারী। জীবিকা নির্বাহের একমাত্র অবলম্বন গাছ কাটার কাজ। কিন্তু বয়সের ভার আর নানা রোগের কারণে এখন আর আগের মতো কাজ করতে পারেন না। এই অবস্থায় চরম আর্থিক সংকটে ভুগছেন তিনি।

    গত প্রায় ৫ বছর ধরে বেশ কয়েকজন লোকের কাছে তার পাওনা রয়েছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা। বারবার অনুরোধ করেও সেই টাকা আদায় করতে ব্যর্থ হয়ে এবার ভিন্ন পথ বেছে নিয়েছেন ইনতাজ। পাওনা আদায়ে ব্যানার টাঙালেন ইনতাজ আলী। তিনি জানান, দেনা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে দেনাদারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অনুনয়-বিনয় করেছেন, এমনকি থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছিলেন। কিন্তু এতে কোনো ফল না পেয়ে তিনি এখন হতাশ। অর্থাভাবে ঠিকমতো চিকিৎসাও করাতে পারছেন না তিনি। এই পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত নিজের পাওনার টাকা উদ্ধারে প্রতিবাদের পথ বেছে নিয়েছেন তিনি।

    ইনতাজ আলী একটি ৪ ফুট বাই ৫ ফুটের ডিজিটাল ব্যানারে তার দেনাদারদের নাম এবং টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে স্থানীয় বাজারে টাঙিয়ে দিয়েছেন।

    ব্যানারে ইনতাজ লিখেছেন, ‘দিলু ব্যাপারী ৬ হাজার টাকা, হুমায়ুন ব্যাপারী ২ হাজার ৬০০, সুজন ব্যাপারী ৭৫০, নজরুল ব্যাপারী ২ হাজার ৪০০, বারেক গাছের ব্যাপারী ১৩ হাজার ও রতন গাছ কাটে ২০০ টাকা।’

    ব্যানারের নিচে লেখা আছে, ‘থানা থেকে অর্ডার, এই বিষয়টা এলাকাবাসীকে জানানোর জন্য। যদি এই টাকা না দেন তাহলে থানায় মামলা হবে।’

    ইনতাজ আলীর এই প্রতিবাদী পদক্ষেপ স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। কেউ কেউ তার এই কাজকে সাহসী প্রতিবাদ বলছেন। আবার কেউ কেউ বিষয়টিতে শত্রুতার আশঙ্কাও করছেন।

    ইনতাজ আলী বলেন, দেনাদারদের লজ্জা দেওয়ার জন্যই তিনি এমনটা করেছেন। এতেও কাজ না হলে মাইক নিয়ে প্রচার করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

    এ প্রসঙ্গে নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার জালাল উদ্দিন মাহবুব বলেন, পাওনা টাকা না দেওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। তবে এভাবে প্রচার করাটা ঠিক নয়। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    পটুয়াখালীতে ডাক্তার না হয়েও দাঁত ও চোখের চিকিৎসা করেন দুই ভাই

    পটুয়াখালীর মহিপুর সদরের এশিয়া ডেন্টাল ও চক্ষু সেবা কেন্দ্রে চলছে নিয়মবহির্ভূত চিকিৎসা কার্যক্রম। ডাক্তার না হয়েও নামের আগে লেখেন...