ঝালকাঠি কোন ঘুষ-তদবির ছাড়াই মাত্র ১২০ টাকা খরচ করে পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবলে (টিআরসি) চাকরি পেয়েছেন ৯ তরুণ-তরুণী। শুধুমাত্র মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ পেয়েছেন তারা। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ঝালকাঠি পুলিশ লাইন্সে এই ফলাফল ঘোষনা করেন পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়। তালিকায় আরও ২ প্রার্থীকে অপেক্ষমান হিসেবে রাখা হয়েছে।
তালিকা প্রকাশের পরপরেই উত্তীর্ণ প্রার্থীরা আনন্দ অশ্রুতে খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়েন। ‘সেবার ব্রতে চাকরি’—এই শ্লোগানে সামনে রেখে ঝালকাঠি জেলায় নিয়োগ যোগ্য শূণ্য পদের বিপরীতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে শতভাগ মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ (জুন) , ২০২৫ খ্রিঃ এর চুরান্ত ভাবে উত্তীর্ণ ০৯ জন ও অপেক্ষমান তালিকার ২ জন প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষার পর চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে জেলা পুলিশ। পরে তাদের পরিবারবর্গকে ফুল দিয়ে বরণ করলেন পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়।
এসময় অভিভাবকরা আবেগপ্রবণ হয়ে তাৎক্ষণিক অনুভূতি ব্যক্ত বলেন, তারা কৃষক, দিনমজুর, অটোচালক বিভিন্ন পেশার সাথে জড়িত। যদি বাংলাদেশ পুলিশ স্বচ্ছতা, যোগ্যতা এবং মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ না দিতেন তাহলে আজ তাদের সন্তানেরা বাংলাদেশ পুলিশের মত গর্বিত বাহিনীতে চাকরি করার সুযোগ হয়তো পেত না। অতঃপর তারা মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে তাদের সন্তানদের বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগ দেওয়ায় সম্মানিত আইজিপি মহোদয় এবং ঝালকাঠি পুলিশ সুপার কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ঝালকাঠি পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায় বলেন, সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে মেধাবী ও যোগ্যদের মুল্যায়ন করা হয়েছে। যা চাকরি পেয়েছেন তাদের বেশিরভাগ গরীব ও হতদরিদ্র। অনেকের মাঝে ধারণা আছে পুলিশে চাকরি মানেই ঘুষ ও তদবিরের জোর লাগে। কিন্তু আমরা সেই ধারণা পাল্টে দিতে চাই।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভোলা সদর সার্কেল) রিপন চন্দ্র সরকার,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরনদী সার্কেল) শারমিন সুলতানা রাখীসহ নিয়োগ বোর্ডের সদস্য ঝালকাঠি জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।