এশিয়া কাপ শুরু হয়েছে চারদিন হলো। কিন্তু ম্যাচ দেখার জন্য সময় বের করে, টিভি কিংবা ফোন অ্যাপ খুলে বসা খুব বেশি ভক্তের সন্ধান পাওয়া যাবে না। হোক সেটা বাংলাদেশের ভক্ত কিংবা পাকিস্তানের। ভারত ও শ্রীলঙ্কা তো এখনো মাঠেই নামেনি। এর মধ্যে বাংলাদেশ ম্যাচ খেলেছে হংকং-এর বিপক্ষে। অবধারিত জয় ধরেই মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ।
হংকংকে ১৪৩ রানে আটকে ৭ উইকেটে জিতেছে লিটন দাসরা। ওই ম্যাচের খবর লাল-সবুজ জার্সি পরা দলের ভক্তরা নিশ্চয় রেখেছিলেন। কিন্তু ম্যাচ থেকে চোখ সরানো যাবে না, এমন ব্যাপার ছিল না। আবার আফগানিস্তান-হংকং ম্যাচ কিংবা পাকিস্তান-ওমান ম্যাচের চিত্রও একই ছিল। আফগানদের বিপক্ষে হংকং যেমন লড়াইই করতে পারেনি।
১৮৯ রানের লক্ষ্যে নেমে আটকে গিয়েছিল ৯৪ রানে। তেমনি ওমানের বিপক্ষে পাকিস্তান ১৬০ রান করে জিতেছে ৯৩ রানের বিশাল ব্যবধানে। ওই হিসেবে আজ বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায় বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপের আসল আমেজ। শক্তির বিচারে দুই দলই সমপর্যায়ের। দুই দলের ব্যাটাররা যেমন লড়াই জমাতে পারে তেমনি বোলাররাও হতে পারেন ম্যাচের ফলাফলের নির্ধারক।
এই ম্যাচে বাংলাদেশ জিতলে সুপার ফোরের পথে অনেকটা এগিয়ে যাবে। হারলে বাড়বে বিদায়ের শঙ্কা। সেক্ষেত্রে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য বাঁচা-মরার লড়াই হয়ে দাঁড়াবে। শ্রীলঙ্কার মতো আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচেও দুই দলের মাঠ ও টিভি দর্শকদের বাড়তি মনোযোগ কাড়বে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দিয়ে এশিয়া কাপের আমেজ শুরুর পরদিনই মাঠে গড়াবে আসরের সবচেয়ে কাঙ্খিত ভারত ও পাকিস্তানের লড়াই। এবারের এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারত খেলবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। এশিয়া কাপ বাতিল হওয়ার শঙ্কা ছিল।
শেষ পর্যন্ত ভারত সরকারের থেকে বিসিসিআই খেলার বিষয়ে সবুজ সংকেত পায়। ভারত সরকার জানিয়েছে, আইসিসি বা এসিসি’র কোন টুর্নামেন্টে খেলতে তাদের আপত্তি নেই। তবে কোন পর্যায়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হবে না।