অনলাইন ডেস্ক: পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার ঘোষেরহাট বাজারসংলগ্ন একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু ভেঙে পড়ায় দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তিতে পড়েছেন দুই উপজেলার মানুষ। প্রায় দুই বছর আগে খালের ওপর নির্মিত সেতুটি ধসে গেলে স্থানীয় লোকজন অস্থায়ীভাবে সাঁকো তৈরি করেন।
বর্তমানে ওই সাঁকো দিয়ে কেবল পথচারীরা চলাচল করছেন। তবে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে । যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এতে ইন্দুরকানী উপজেলার সঙ্গে পাশের জেলা বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এর ফলে হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. সেলিম সিকদার বলেন, সেতুটি ভেঙে পড়ায় স্কুলের শিক্ষার্থীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ফলে তারা নিয়মিত ক্লাস করতে পারছে না। একই অভিযোগ করেন মোটরসাইকেল চালক মো. সোলাইমান হোসেন (রনি)।
তিনি বলেন, মোটরসাইকেল চালিয়েই সংসার চলে। প্রতিদিন ইন্দুরকানী থেকে মোরেলগঞ্জ হয়ে শরণখোলা ও মোংলা পর্যন্ত যাতায়াত করি। সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় আমরা বিপাকে পড়েছি। স্থানীয় রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী নেতারাও সেতুটি দ্রুত পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। ইন্দুরকানী সদর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মো. ইব্রাহিম মাতুব্বর বলেন, এই সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে।
শিক্ষার্থী, রোগীসহ সব শ্রেণির মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। দ্রুত নতুন সেতু নির্মাণ জরুরি। বাজার কমিটির সাবেক সেক্রেটারি আ. লতিফ সিকদার বলেন, কয়েক বছর আগেই এলজিইডি সেতুটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছিল। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো বরাদ্দ হয়নি।
ইন্দুরকানী উপজেলা প্রকৌশলী লায়লা মিথুন বলেন, সেতুটি ভেঙে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড টানানোর জন্য বলা হয়েছে। বর্তমানে আমাদের হাতে কোনো প্রকল্প নেই। তবে প্রকল্প অনুমোদন পেলে বরাদ্দ দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ইন্দুরকানী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমন তালুকদার বলেন, প্রকৌশলী আমাকে সাইনবোর্ড টানানোর কথা বলেছেন। আমি বিষয়টি স্থানীয় বাজার কমিটিকে জানিয়েছি। পাশাপাশি পিআইও দপ্তরের মাধ্যমে নতুন বরাদ্দের চেষ্টা চলছে।