আগৈলঝাড়া প্রতিনিধিঃ বরিশালের উজিরপুর উপজেলার রাজাপুর নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম ও দূনীর্তির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে নিয়োগ বঞ্চিত এক প্রার্থী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উজিরপুর উপজেলার রাজাপুর নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসায় এবতেদায়ী প্রধান পদে নিয়োগের জন্য সকল কাগজপত্র দিয়ে আবেদন করেন দক্ষিন সাতলা গ্রামের মো.আবুল কালাম বালীর ছেলে মোহাম্মদ অলিউল ইসলাম। তিনি জানান, আবেদনের পরেই ওই মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আব্দুল কাদির আমার কাছে মাদ্রাসায় ডোনেশনের জন্য দুই লক্ষ দাবী করে আসছিল। তাকে আমি নিয়োগের জন্য ২০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। পরে ওই পদে নিয়োগের জন্য ২৯ আগষ্ট রাজাপুর নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসায় বসে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
ওই পরীক্ষায় আমি প্রথম হই। তবে নিয়োগ পরীক্ষার সময় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবিএম জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন না বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন প্রার্থী। তাদের চাহিদামত দুই লক্ষ টাকা দিতে না পারায় তারা আমাকে নিয়োগ না দিয়ে মো. আলামিন মিয়াকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেয় মাদ্রাসা কতৃর্পক্ষ। এঘটনার প্রতিকার চেয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের মহাপরিচালক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এব্যাপারে রাজাপুর নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আব্দুল কাদিরকে ফোন দিলে সাংবাদিকদের কথা শুনে সে আর ফোন রিসিভ করেননি। রাজাপুর নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, এই নিয়োগে কোন অনিয়ম হয়নি। যে প্রার্থী প্রথম হয়েছে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মাদ্রাসার সুপার যদি কিছু করে থাকে সেটি তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
উজিরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবিএম জাহিদ হোসেনকে ফোন দেওয়ার পরেও সে ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এব্যাপারে উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলী সুজা বলেন, আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার সময় আমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে অভিযোগ দেওয়ার কথা বলেছি।
বোর্ড থেকে যদি আমাকে কোন ব্যবস্থা নিতে বলে তখন আমি ব্যবস্থা নিতে পারবো। যেহেতু ওই নিয়োগ পরীক্ষার সময় মাদ্রাসা বোর্ডের একজন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।