ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসু নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে বিক্ষোভ করেছেন একদল শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার রাতে ভিসির বাসভবনের সামনে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা ‘ভিসি স্যার জানেন নাকি, নীলক্ষেতের নায়ক আপনি’ ‘নীলক্ষেত না ডাকসু, নীলক্ষেত-নীলক্ষেত’ ‘ভিসি না নীলক্ষেত, নীলক্ষেত-নীলক্ষেত’ স্লোগান দেন।
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা জানান, ডাকসু নির্বাচনে কারচুপির বিষয়ে অনেকেই অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এসব অভিযোগ অগ্রাহ্য করেছে। এদিকে একটি টিভি চ্যানেলে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ‘নীলক্ষেতে ছাপা হয় ডাকসু নির্বাচনের ব্যালট, সংখ্যায়ও গরমিল’ শিরোনামে খবর প্রচারের পর তোলপাড় শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা ডাকসু নির্বাচনে কারচুপির প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে চলছে সমালোচনা-প্রতিবেদন। মূলত নির্বাচনকালীন পরিবেশ নিয়ে আগেই বেশ শঙ্কা প্রকাশ করেছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী জোটসহ অন্যান্য বাম ছাত্র সংগঠন। তাদের অভিযোগ ছিল ক্যাম্পাসে শিবিরের একক আধিপত্য ও মব সন্ত্রাসের মতো কার্যক্রম বন্ধ না করতে পারলে তার গুরুতর প্রভাব পড়বে ডাকসু নির্বাচনে। তাই প্রসাশনের কাছে নির্বাচনকালীন পরিবেশ স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ রাখার বারবার আহ্বান জানিয়ে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করে এ ছাত্র সংগঠনগুলো।
গত ২২ সেপ্টেস্বর ডাকসু নির্বাচনে অনিয়ম ও অসঙ্গতির বিষয়ে ১১টি অভিযোগ তুলে ধরেছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান। তিনি বলেছেন, বিষয়গুলো নিয়ে প্রশাসন অবস্থান স্পষ্ট না করলে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে নির্বাচনকে বৈধতা দেয়ার সুযোগ নেই। নীলক্ষেতে অরক্ষিত অবস্থায় ব্যালট ছাপা হয়েছে এমন খবর টিভিতে প্রচারের পর নেট দুনিয়ায় হৈচৈ পড়ে গেছে।
নেটিজেনদের বেশির ভাগই বলছেন, যেভাবে খবর ও খবরের পেছনের খবর প্রকাশ পাচ্ছে, তাতে ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল বাতিল হতে পারে। নেটিজেনদের অনেকেই নির্বাচন বাতিল করে নতুন করে ডাকসু নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। ডাকসু নির্বাচনের চিফ রিটার্নিং অফিসার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেছেন, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন-২০২৫ পরবর্তী বিভিন্ন অভিযোগ ও জিজ্ঞাসাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে কমিশন। নীলক্ষেতে অরক্ষিতভাবে ব্যালট পেপার-সংক্রান্ত অভিযোগ অতীব গুরুত্বসহ পর্যবেক্ষণ ও তদন্ত করা হচ্ছে।
নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর বেশ কিছু প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অনিয়মের অভিযোগ করেন। তারা জানান, বারবার কাস্টিং ভোটার লিস্ট, ভোটকেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজ চাওয়া সত্ত্বেও প্রশাসন তা দেয়নি। এ নিয়ে অধিকাংশ প্রার্থী এবং সচেতন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা বলছেন, প্রশাসনের দাবি অনুযায়ী, যদি ভোট শতভাগ সুষ্ঠুই হয়ে থাকে তাহলে সিসিটিভি ফুটেজ ও কাস্টিং ভোটার লিস্ট দিতে সমস্যা কোথায়? শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে প্রশাসন এসব তথ্য দিতে গড়িমসি করছে। শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, প্রার্থীদের অভিযোগ যৌক্তিক এবং প্রশাসনের উচিত প্রার্থীদের অভিযোগের যথাযথ জবাব দেয়া।
জানা যায়, অত্যন্ত গোপনীয়ভাবে ছাপানোর কথা থাকলেও অরক্ষিতভাবে নীলক্ষেতে ছাপা হয়েছিল বহুল আলোচিত-সমালোচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে (ডাকসু) ব্যবহৃত ব্যালট পেপার। গণমাধ্যমে এ নিয়ে অনুসন্ধান করে জানিয়েছে, অভিযোগ এটি সত্য। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, নীলক্ষেতে নয়; বরং সর্বোচ্চ গোপনীয়তায় উন্নতমানের ছাপাখানায় তৈরি হয়েছে ব্যালট। ঘটনার পরম্পরা আর সংশ্লিষ্টদের জবানবন্দি বলছে, নীলক্ষেতেই দায়সারাভাবে ছাপানো হয়েছে ডাকসু নির্বাচনের ব্যালট। এমনকি ছাপানোর সংখ্যা নিয়েও ছাপাখানা আর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের তথ্যে রয়েছে ব্যাপক গরমিল।
ডাকসু নির্বাচন কমিশনের বক্তব্যে বলা হয়েছে নীলক্ষেতে গাউসুল আজম মার্কেটে এই ব্যালট ছাপানোর সুযোগ নেই। নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেছেন, ‘কারণ ওই মেশিনটা ওখানে (গাউসুল আজম মার্কেট) থাকবে না।’ তাদের থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, জালাল প্রেসে দেখা গেছে, প্রেসটি ব্যালট পেপার ছাপতে পারে। প্রেসটির মালিক মো. জালালের কাছে গণমাধ্যম থেকে জানতে চাওয়া হয়, ডাকসু নির্বাচনে যে ব্যালটে ভোট হয়েছে সেটি তার প্রেস থেকে ছাপা কিনা।
উত্তরে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ’। অনুসন্ধানে কার মাধ্যমে ব্যালট ছাপার কাজ পেয়েছেন সেটিও পাওয়া গেছে। নথিপত্র দেখার পর মো. জালাল তার নামও প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাকে যে কাজ দিয়েছে তার নাম মো. ফেরদৌস। মোটামুটি তিন দিনেই আমরা কাজটি করেছি। ৭ সেপ্টেম্বর ব্যালট ডেলিভারির লাস্ট ডেট ছিল।’ তিনি আরো জানান, তার প্রেসের খোলামেলা পরিবেশেই ডাকসুর ব্যালটের পেপার ছাপানো হয়েছে। বন্ধ ছিল না প্রেসের সাটারও। তার কাছ থেকে ৪৮ হাজার পিস ব্যালট নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মো. জালাল। প্রতি কাগজে দুটি ব্যালট থাকায় এর সংখ্যা দাঁড়ায় ৯৬ হাজারে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত তালিকায়, মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন। এর মধ্যে ৯ সেপ্টেম্বরের ভোটে ১৮টি হলের মোট ভোটারের মধ্যে অনানুষ্ঠানিকভাবে ভোট পড়েছে ৭৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় ব্যালট পেপার নিয়ে কাটিং হয়েছে আরেকটি দোকানে। এর নাম ‘মক্কা পেপার কাটিং হাউস’। দোকানটির মালিক ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ফেরদৌস নামেই একজন কাজ নিয়ে এসেছিলেন এই দোকানে। কাটিংয়ের সময়ও পরিবেশ ছিল অরক্ষিত। দোকানের কর্মচারী জানান, কাগজটা সেনসেটিভ ছিল, তাই আমরা রাত পৌনে ১টা থেকে দেড়টার মধ্যে কাটিং করেছি। পরদিন সকাল ৯টার দিকে তারা ব্যালট নিয়ে যায়। তিনি দিলেন আরেক তথ্য। তার দেয়া তথ্য মতে, ওই কাটিং সেন্টারে ওই রাতে কাটা হয়েছে ২২ রিম কাগজ। যাতে ব্যালটের সংখ্যা দাঁড়ায় ৮৮ হাজারের মতো।
জালাল প্রেস থেকে বলা হচ্ছে, তারা ৯৬ হাজার ব্যালট ছাপিয়েছে। আর মক্কা কাটিং বলছে, তারা ৮৮ হাজার ব্যালট কেটেছে। এখানেই আট হাজার ব্যালটের গরমিল।
ডাকসু নির্বাচনে ব্যালট পেপার ছাপা এবং ওএমআর মেশিনে গণনা করার টেন্ডার পাওয়া একটি প্রতিষ্ঠান আঞ্জা করপোরেশন। আদাবর থানার নবোদয় আবাসিক এলাকায় প্রতিষ্ঠানটি অবস্থিত। আঞ্জা করপোরেশনের চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন ফোনে স্বীকার করেন, ব্যালট পেপার ছাপানোর কথা। জাহিদ হোসেন দাবি করেন, তার নিজের প্রেস থেকে ছাপানো হয়েছে ব্যালট। যেটি কেরানীগঞ্জে অবস্থিত। তথ্য-প্রমাণ দিলে তিনি দায় চাপিয়ে দেন কর্মচারীদের ওপর। তিনি বলেন, ‘আমি চীনে ছিলাম। আমার কর্মচারীরাই কাজটা করেছে।
জাহিদ হোসেনের দাবি, তারা ছাপিয়েছেন এক লাখ ৫৩ হাজার ব্যালট।’ অনুসন্ধানে নীলক্ষেতের দুই দোকান দুই রকম হিসাব পাওয়া গেছে। আঞ্জা করপোরেশন বলছে, তারা ছেপেছে এক লাখ ৫৩ হাজার। ঐকিক নিয়মে ধরলে, ডাকসু নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা ছিল ৩৯ হাজার ৭৭৫। একেকজন ভোটার মোট ছয়টি পাতায় পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিয়েছেন। অর্থাৎ পাতার হিসাবে মোট ব্যালট পেপারের সংখ্যা দাঁড়ায় দুই লাখ ৩৮ হাজার ৬৫০টি।
সব প্রশ্নর জবাব নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা হাইলি স্পেশালাইজ একটা প্রসেস। এর একেকটি মেশিনের দাম মিনিমাম ৫০ লাখ, ৬০ লাখ, ৭০ লাখ টাকা। আমরা যখন এটা যখন টেন্ডার করেছি, তখন একমাত্র একটি ব্র্যান্ড আবেদন করে। অন্য কারো কাছে এই মেশিন ছিল না।’
ভিসির বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ : ডাকসু নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেছেন একদল শিক্ষার্থী। গত বৃহস্পতিবার রাতে এ বিক্ষোভ করা হয়। বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা জানান, কারচুপির বিষয়ে অনেকেই অভিযোগ দিয়েছেন।
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এসব অভিযোগ এক প্রকার অগ্রাহ্য করেছে। প্রতিটি অভিযোগেরই কোনো না কোনো ভিত্তি আছে। অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে সব অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত চান তারা। ঢাবির অপরাধ-বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী এম এ মহমিতুর রহমান বলেন, ‘আমরা দেখেছি এখন পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন এবং স্বতন্ত্র অনেক প্রার্থী ডাকসু নির্বাচনে সূক্ষ্ম কারচুপির অভিযোগ জানিয়েছেন। তারা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বলেছিল, আমরা জানতে চাই ব্যালটগুলো কোথায় ছাপানো হয়েছিল।
একই সঙ্গে যারা ভোট দিয়েছেন, তাদের ভোটার লিস্টও (তালিকা) আমরা জানতে চাই। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছিল, নীলক্ষেতে জ্যান্ত মানুষ বানানো সম্ভব হলেও সেখান থেকে ব্যালট পেপার ছাপানো হয়নি। এটি অত্যন্ত গোপনীয় বিষয় বিধায় আমরা তা প্রকাশ করতে পারছি না।’ বিক্ষোভে অংশ নেয়া আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা টিভিতে একটি প্রতিবেদন দেখলাম।
সেখানে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ভোট হয়েছে, সেই ব্যালটগুলো সম্পূর্ণভাবে নীলক্ষেত থেকেই ছাপানো হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বারবার গোপনীয়তার নিয়ম দেখিয়ে ব্যালট কোথায় ছাপা হয়েছে তা বলছে না। আমরা মনে করি, প্রশাসন সূক্ষ্ম কারচুপির মাধ্যমে একটি ইঞ্জিনিয়ার্ড ইলেকশন (কারচুপির) আয়োজন করেছে এবং সেটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে।’
এ সময় বিক্ষোভকারীরা বলেন, অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে সব অভিযোগের একটি সুষ্ঠু তদন্ত হোক। সেই তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তী কর্মসূচি এগিয়ে নেব।
ছাত্রদলের ১১ অভিযোগ : গত ২২ সেপ্টেস্বর মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল মনোনীত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান নির্বাচনে অনিয়ম-অসঙ্গতির ১১ অভিযোগ উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, বিষয়গুলো নিয়ে প্রশাসন অবস্থান স্পষ্ট না করলে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে নির্বাচনকে বৈধতা দেয়ার সুযোগ নেই।
আবিদুল ইসলাম খান বলেন, নানান অনিয়ম ও অসঙ্গতির বিষয়ে বারবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করে সমাধানের অনুরোধ করলেও তারা কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেননি; বরং ইচ্ছাকৃতভাবে কালক্ষেপণ করে চলেছে। যার ফলে ডাকসু নির্বাচন ইতিহাসের পাতায় একটি নেতিবাচক প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন হিসেবে ঠাঁই পাবার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে আমরা মনে করি। যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রশাসন বিষয়গুলো নিয়ে তার অবস্থান ক্লিয়ার করতে না পারবে, এই নির্বাচনকে আমাদের জায়গা থেকে বৈধতা দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।’ ছাত্রদলের আনুষ্ঠানিক এই অভিযোগের তিন দিন পর ‘অভিযোগের জবাব দেয়া হয়েছে’ নামক একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয় ঢাবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সেই বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন-২০২৫ পরবর্তী বিভিন্ন অভিযোগ ও জিজ্ঞাসার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে। তারই ধারাবাহিকতায় গঠনতন্ত্রের ৬৯ নম্বর ধারার আলোকে ১৫টি অভিযোগ ও জিজ্ঞাসার বিষয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার লিখিত জবাব দেয়া হয়েছে। বাকি অভিযোগ ও জিজ্ঞাসার বিষয়েও ক্রমান্বয়ে জবাব দেয়া হবে।
তদন্ত কমিটি গঠন : কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসু নির্বাচনে ব্যবহৃত ব্যালট পেপার নীলক্ষেতে অরক্ষিতভাবে ছাপানো হয়েছে, এমন অভিযোগকে গুরুত্বসহ তদন্ত করছে নির্বাচন কমিশন। গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে ডাকসু নির্বাচনের চিফ রিটার্নিং অফিসার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন-২০২৫ পরবর্তী বিভিন্ন অভিযোগ ও জিজ্ঞাসাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে কমিশন। এর অংশ হিসেবে গঠনতন্ত্রের ৬৯ নম্বর ধারার আলোকে মোট ১৫টি অভিযোগ ও জিজ্ঞাসার লিখিত জবাব দেয়া হয়েছে। বাকিগুলোর জবাবও ধাপে ধাপে দেয়া হবে।
ব্যালট পেপার-সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে কমিশন জানায়, এটি অতীব গুরুত্বসহ পর্যবেক্ষণ ও তদন্ত করা হচ্ছে। এ নিয়ে অধিকতর তদন্তের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। শিগগিরই এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সব অভিযোগ ও জিজ্ঞাসার বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
উল্লেখ, গত ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসু নির্বাচন-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়।
তথ্যসূত্র: দৈনিক ইনকিলাব