গলাচিপা প্রতিনিধি: গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে দেশকে স্থিতিশীলভাবে পরিচালনা করতে পারবে না। দেশকে সংকটমুক্ত ও স্থিতিশীল রাখতে আগামী দিনে বিএনপিকেই রাষ্ট্রক্ষমতায় আনতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে পটুয়াখালীর গলাচিপা বিএনপি কার্যালয়ে বিএনপির একাংশের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন নুরুল হক নুর। এ সময় বিএনপি ও গণ অধিকার পরিষদের স্থানীয় নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে তাকে বিজয়ী করতে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
নুরুল হক নুর বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে বিএনপির আসন সমঝোতা নিয়ে নানা বিভ্রান্তিকর বক্তব্য ছড়ানো হচ্ছে। সময় এলে জনগণ দেখতে পাবে বিএনপি গণ অধিকার পরিষদকে কীভাবে মূল্যায়ন করে। তিনি বলেন, “আমরা সবাই তারেক রহমানকে চিনি। তিনি কথা দিলে কথা রাখেন। তার সঙ্গে যে রাজনৈতিক কমিটমেন্ট রয়েছে, তা এই মুহূর্তে প্রকাশ্যে বলা হবে না।”
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে একটি আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তবে নির্বাচিত সরকার এলেও কিছু অরাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করতে নানা আন্দোলন সৃষ্টি করতে পারে, যা দেশকে গভীর সংকটে ফেলতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
সাম্প্রতিক সহিংসতার প্রসঙ্গ টেনে নুর বলেন, আন্দোলনের একজন সাহসী কর্মী ওসমান হাদিকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে দেশজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং দুটি শীর্ষ গণমাধ্যম কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি আরও জটিল হলে কেউ কেউ রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণাও দিতে পারত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
নুরুল হক নুর বলেন, শুধু নির্বাচন হলেই সংকট কেটে যাবে—এমন নয়। যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে ঘোষিত ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কার আগামী পাঁচ বছরে একটি স্থিতিশীল সরকারের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে হবে। তার ভাষায়, ব্যক্তিগত প্রাপ্তি বা আসনের হিসাব নয়, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও মানুষের নিরাপত্তাই তাদের মূল লক্ষ্য। এ কারণেই দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনাই এখন সময়ের দাবি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
