More

    নদী ভাঙনের কবলে প্রধান সড়ক, যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের আশঙ্কা

    অবশ্যই পরুন

    স্টাফ রিপোর্টার: পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নে রামনাবাদ নদীর ভয়াবহ ভাঙনের কবলে পড়েছে জেলা সদরের সঙ্গে উপজেলার যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম গলাচিপা-পটুয়াখালী মহাসড়ক। নদীর করাল গ্রাসে সড়কের একটি বড় অংশ ইতোমধ্যে বিলীন হওয়ার পথে, যা যেকোনো মুহূর্তে পুরো যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

    সরেজমিনে দেখা গেছে, আমখোলা লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকায় মহাসড়কের পাশে নির্মিত গাইড ওয়ালের একাংশ জোয়ারের পানির স্রোতে ধসে গেছে। ওয়ালের নিচের মাটি সরে গিয়ে পাকা সড়কে সৃষ্টি হয়েছে গভীর ফাটল। রাস্তার একটি অংশ এখন বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে।

    স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রামনাবাদ নদীর তীব্র স্রোতের কারণে ভাঙন দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এভাবে চলতে থাকলে সড়কটির প্রায় ৫০০ মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। এর ফলে গলাচিপা উপজেলা সদরের সাথে পার্শ্ববর্তী পাঁচটি ইউনিয়নসহ জেলা সদরের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে, যা হাজারো মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ও অর্থনীতিতে চরম ভোগান্তি সৃষ্টি করবে।

    নদী ভাঙনে শুধু সড়ক নয়, ভিটেমাটি ও ফসলি জমিও হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন নদীপাড়ের শত শত পরিবার। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে স্থায়ী মুক্তির দাবিতে সম্প্রতি আমখোলা ইউনিয়নের ভাংড়া গ্রামের নদীর তীরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ও অসহায় মানুষজন। তারা দ্রুত নদী শাসন ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক ও জনপদ রক্ষার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।
    স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ভুক্তভোগীরা বলছেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জরুরি ভিত্তিতে বালুর বস্তা (জিওব্যাগ) ফেলে ভাঙন মোকাবিলার চেষ্টা করা হলেও তা প্রবল স্রোতের কাছে যথেষ্ট নয়। একটি স্থায়ী সমাধানই কেবল এই জনপদকে রক্ষা করতে পারে।

    জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক এবং নদীর তীরবর্তী এলাকা রক্ষায় দ্রুত কার্যকর ও টেকসই পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় বিপুল সংখ্যক মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়বে এবং গলাচিপার অর্থনীতিতে মারাত্মক আঘাত হানবে।

    নদীর ভাঙন ঠেকানো না গেলে হুমকির মুখে পড়বে তিন উপজেলার মানুষের জীবন-জীবিকা।
    এ বিষয়ে পটুয়াখালী সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী জনাব জামিল আক্তার লিমন সমস্যাটির স্থায়ীসমাধানের আশ্বাস দিয়ে বলেন, “এই রাস্তাটি মূলত পানি উন্নায়ন বোর্ডের বেরিবাধ হওয়ার কারণে আমরা একক কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারিনা তবে আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করেছি এবং তারা আমাকে আসস্থ করেছেন এক সপ্তাহের মধ্যে মেরামতের জন্য একটা বরাদ্দের ব্যাবস্থা করবেন এবং আগামী তিন মাসের মধ্যে রাস্তাটির স্থায়ীভাবে সমাধানের জন্য কর্তৃপক্ষের বরাবর বরাদ্দের জন্য আবেদন করা হয়েছে।”

    পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন, “এখন বর্ষা মৌসুম চলমান তাই আপাতত জরুরী ভিত্তিতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অংশে জিও ব্যাগ ফেলানো শুরু করেছি।”

     

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    সৈকতে ফের ভেসে এসেছে মৃত ইরাবতী ডলফিন

    কলাপাড়া প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও ভেসে এসেছে ইরাবতী প্রজাতির একটি মৃত ডলফিন। এটির শরীরের...