রাহাদ সুমন, বরিশাল : ইটের সুরকি আর বালু দিয়ে শুরু হয়েছে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বিভিন্নস্থানে সৃষ্ট খানাখন্দ ও ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সংস্কার কাজ। ইট-বালু গাড়ির চাকায় একাকার হয়ে ধুলার রাজ্যে পরিণত হয়েছে সংস্কার করা মহাসড়কের অংশে।
ফলে ধুলাবালিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মহাসড়কের বিভিন্ন বাসষ্ট্যান্ডের ব্যবসায়ীসহ পথচারীরা। এতে করে ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর থেকে টরকী বন্দর পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা গেছে, ইট-বালু দিয়ে মহাসড়ক সংস্কারের চিত্র।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন-চলতি বর্ষা মৌসুমে ভারি বর্ষনের ফলে মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর, বাইচখোলা, মাহিলাড়া, বেজহার, কাসেমাবাদ, আশোকাঠী, গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ড, মদিনাষ্ট্যান্ড, টরকী বন্দর বাসষ্ট্যান্ড পর্যন্ত বিভিন্ন অংশে খানাখন্দসহ ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
বৃষ্টির কারনে পিচ-পাথর ব্যবহার করতে না পারায় ইট ও বালু দিয়ে গর্তগুলো ভরাট করে মহাসড়ক সচল রাখে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ও বাইচখোলা অংশে পিচ এবং পাথর দিয়ে মহাসড়কে সংস্কার কাজ শুরু করে সড়ক ও জনপদ বিভাগ।
স্থানীয় অসংখ্য বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, বর্ষা মৌসুমে মহাসড়কের গৌরনদী ও টরকী বাসষ্ট্যান্ডে সবচেয়ে বেশি খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অথচ গুরুত্বপূর্ন এই দুটি বাসষ্ট্যান্ডে পিচ ও পাথর দিয়ে সড়ক সংস্কার না করে ইটের সুরকি আর বালু দিয়ে সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। ইটের সুরকি আর বালু গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে গাড়ি চলাচলের সময় ধুলো ঝড়ে পরিণত হচ্ছে।
ফলে মহাসড়কের আশপাশের দোকান ধুলায় ঢেকে যাচ্ছে। ছোট যানবাহনের চালক ও পথচারীদের মুখে মাক্স কিংবা রুমাল ব্যবহার করে অথবা হাত দিয়ে নাক-মুখ চেপে ধরে চলাচল করতে হচ্ছে। গৌরনদী ও টরকী বাসষ্ট্যান্ডের ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বর্ষা শেষ হয়েছে অথচ এখনো ইটের সুরকি আর বালু দিয়ে মহাসড়ক সংস্কার অব্যাহত রেখেছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। এতে সাধারণ মানুষের আরো ভোগান্তি বৃদ্ধি পেয়েছে।
বরিশাল সড়ক ও জনপদ বিভাগের এমন কর্মকান্ডে ক্ষুব্ধ বাসষ্ট্যান্ডের ব্যবসায়ী ও পথচারীরা আরও বলেন, ধুলার কারনে দোকানে বেশিক্ষন থাকা যায়না। এভাবে চলতে থাকলে দোকানপাট বন্ধ করে রাখতে হবে। তাই জরুরি ভিত্তিত্বে খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হওয়া অংশে ইট-সুরকি এবং বালু দিয়ে সংস্কার না করে পিচ-পাথর দিয়ে তারা (ব্যবসায়ী) জনগুরুত্বপূর্ন এ মহাসড়ক সংস্কারের দাবি করেছেন।
এ ব্যাপারে বরিশাল সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহিন খান জানিয়েছেন, যাদের কাছ থেকে মালামাল সাপ্লাই আনা হচ্ছে তারা এই মুহুর্তে মালামাল দিতে পারছেনা। তাছাড়া পূজার এই চারদিনে সড়কে গাড়ির চাঁপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য তাৎক্ষনিকভাবে ইট-বালু দিয়ে গর্তগুলো ভরাট করা হচ্ছে। ###