আবু তোহা মোহাম্মদ আদনানের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী সাবিকুন্নাহার সারাহ পরকীয়ার অভিযোগ তুলে এক বিশাল স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি নাকি তার পুরাতন বান্ধবী যে একজন বিমানবালা, তার সঙ্গে প্রেম করছেন। তবে কিছুক্ষণ পর সাবিকুন্নাহার সারাহ আবার পোস্টটি ডিলিট করে দিয়েছে। অনেকে বলছে পেজটি হ্যাক করা হয়েছে আবার অনেকে বলছে এটা সত্য ঘটনা।
রংপুরের তরুণ ইসলামিক বক্তা আবু ত্বহা মোহাম্মদ আদনান ২০১৭ সালে ইউটিউবে বক্তৃতা শুরু করে দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তার আলোচনায় কিয়ামতের আলামত, দাজ্জাল, সামাজিক সমস্যা এবং মুসলিম সমাজের চ্যালেঞ্জ অন্তর্ভুক্ত থাকে। তিনি ‘জিন নুরাইন অনলাইন মাদ্রাসা’ ও পরিচালনা করেন এবং দর্শন বিভাগে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করার পাশাপাশি দ্বীনি বিষয়ে স্বশিক্ষিত।
২০২৩ সালের জুনে, আদনান তার তিন সঙ্গী এবং গাড়িচালকসহ ঢাকায় যাওয়ার পথে হঠাৎ নিখোঁজ হন। আট দিন পর তিনি রংপুরে তার শ্বশুরবাড়িতে ফিরে আসেন। পুলিশ জানায়, তিনি ব্যক্তিগত কারণে আত্মগোপনে ছিলেন এবং কোনো অপরাধের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা ছিল না।
তবে, আদনান দাবি করেছিলেন যে তাকে শেখ হাসিনার পুলিশ বাহিনী ‘গুম‘ করে আয়নাঘরে আটকে রেখেছিল। তার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা তার পরিচিতি আরও বাড়িয়ে দেয়। সম্প্রতি, একটি নতুন বিতর্ক তৈরি হয় যখন আদনানের স্ত্রী সাবিকুন নাহার সারা ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন, যেখানে তিনি অভিযোগ করেন যে আদনান তার কলেজের প্রাক্তন প্রেমিকা জারিন জেবিন, যিনি বর্তমানে একজন এয়ার হোস্টেজ, এর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন।
তিনি আরও দাবি করেন যে তারা নিয়মিত চ্যাট, ফোন কল এবং লং ড্রাইভের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছেন। উপরন্তু, তিনি আদনানের প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে বিভিন্ন কোর্সের আড়ালে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশার আয়োজন করার অভিযোগ তোলেন। সাবিকুন নাহার বলেন, এই বিষয়গুলো তাকে মানসিকভাবে অস্থির করে তুলেছে, যার ফলে তিনি অনলাইন ক্লাস স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছেন।
এই অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায়, আদনান ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন, যেখানে তিনি জানান যে আজ সকালে আনুমানিক ৫টার দিকে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনটি তার বাড়ি থেকে চুরি হয়ে গেছে। তিনি সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন যাতে বিভ্রান্তিকর তথ্য বা তার ব্যক্তিগত নম্বর অথবা পরিচালিত পেজ থেকে পাঠানো কোনো বার্তা বা তথ্যের মাধ্যমে কেউ বিভ্রান্ত না হন এবং যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে সতর্কতা অবলম্বন করেন।
পরবর্তীতে, সাবিকুন নাহার আরেকটি ফেসবুক পোস্টে তার আগের দাবিগুলো প্রত্যাহার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তিনি ব্যাখ্যা করেন যে ‘হিংসুক ও বিরোধীরা’ তাদের সুচিন্তিত এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য তাকে কিছু ভুল তথ্য দিয়েছিল, যার সত্যতা যাচাইয়ে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। তিনি আল্লাহ এবং তার স্বামী আবু ত্বহা মোহাম্মদ আদনানের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন, যাকে তিনি তার কাজ, চিন্তা ও উদ্দেশ্যের দিক থেকে পবিত্র বলে বর্ণনা করেছেন।
এই ঘটনাগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আদনানের ভক্ত ও সমালোচকদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। জনমনে এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, যদি মোবাইল সত্যিই চুরি হয়ে থাকে, তাহলে তার স্ত্রীর ফেসবুক আইডি কিভাবে চোর পেল এবং কেনই বা এমন বিভ্রান্তিকর পোস্ট দিলো সে? কে