বরিশালের টক-মিষ্টি স্বাদের আমড়া শুধু স্থানীয় বাজারে নয়, দেশের সীমা পেরিয়ে উপমহাদেশ জুড়েও জনপ্রিয়। সম্প্রতি সরকার আমড়াকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ভারতের আগরতলা, কোলকাতা, আসাম ও মেঘালয়ের বাজারেও বরিশালের আমড়ার চাহিদা রয়েছে।
বরিশাল অঞ্চলে প্রায় ২,৫০০ হেক্টর জমিতে প্রতি মৌসুমে প্রায় ২৫,০০০ টন আমড়া উৎপাদন হয়। কৃষিবীদদের মতে, আবাদ সম্প্রসারণের মাধ্যমে এটি ১০,০০০ হেক্টরে নিয়ে গেলে উৎপাদন লাখ টন পর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব।
বর্তমানে বরিশালের নার্সারী ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো উন্নতমানের আমড়া চারা সরবরাহ করছে। বরিশালের আমড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন, ভিটামিন সি ও আয়রন সমৃদ্ধ, যা রক্তস্বল্পতা দূর করতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহায়ক।
আমড়া জ্বর, সর্দি, কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধ, দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষা, ব্রেন স্ট্রোক ও হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর। বরিশালের ভিন্ন স্বাদের আমড়া স্থানীয় কৃষি ও কৃষক সম্প্রদায়ের আয়ের উৎস হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। মাঠ পর্যায়ের কৃষিবীদরা মনে করেন, আমড়ার আবাদ সম্প্রসারণ করে এটি রফতানি পণ্য হিসেবেও গড়ে তোলা সম্ভব। এছাড়া, প্রক্রিয়াজাত করে আমড়া জুস, জেলি ও আঁচাড় তৈরিও সম্ভব।
ডিএই’র বরিশাল অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ড. নজরুল ইসলাম সিকদার জানিয়েছেন, আমড়ার আবাদ সম্প্রসারণে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এটি আরও সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে।