শীতের আগাম সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে। সপ্তাহ গড়ালে যোগান আরও বাড়বে। তখন দাম কমবে— এমনটাই জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তবে পেঁয়াজ-মরিচ-রসুনের বাজার কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী। বোতলজাত সয়াবিন রাখতে খানিকটা আগ্রহ কমিয়েছে ব্যবসায়ীরা। মাছের বাজার তুলনামূলক স্বস্তির পথে। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বরিশালের বেশকিছু বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন তথ্য।
মূলত, নদীতে আহরণ কমলেও, চাষের মাছের ভরপুর যোগান। কেজিতে দর কমেছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। স্বস্তি ফিরছে চিংড়ির দামে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, শীতের তীব্রতা বাড়ার আগে এখন কিছুদিন মাছ বেশি ধরা পড়বে। ২২ দিন নিষেধাজ্ঞার পর ইলিশ আহরণ শুরু হলে, দর আরও কমবে। যদিও উপকূলে মাছের বেশ ঘাটতি রয়েছে।
বাজারে প্রতিকেজি বোয়াল ৮০০-১০০০ টাকা, কোরাল ৮৫০-৯০০ টাকা, আইড় ৭০০-৮০০ টাকা, চাষের রুই ৩০০-৪৫০ টাকা ও কাতল ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া তেলাপিয়া ১৮০ টাকা, চাষের পাঙাশ ২০০ টাকা, চাষের ট্যাংরা ৬০০ টাকা, এবং পাবদা ও শিং ৪০০-৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া স্থিতিশীল রয়েছে মুরগির বাজার।
বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়, আর সোনালি মুরগির জন্য গুনতে হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়। লাল লেয়ার কেজি প্রতি ৩২০ টাকা ও দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকায়। ব্যবসায়ীদের ঘোষিত নতুন দরের সয়াবিন বাজারে আসেনি। ভোজ্যতেল আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা।
প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৮৯ টাকায়। আর ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের জন্য গুনতে হচ্ছে ৯২২ টাকা। চড়া দাম থেকে কিছুটা কমেছে সবজির দাম। তবে, এখনও কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে আসেনি। দু-এক জাতের সবজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে মিললেও, মানভেদে বেশিরভাগ সবজির জন্য গুণতে হবে ৮০ থেকে ১০০ টাকা।
শিম, কপিসহ বেশকিছু আগাম শীতকালীন সবজির দেখা মিললেও, দাম নাগালে নেই। কেজিতে ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে এক কেজি কাঁচা মরিচের জন্য দাম পড়ছে ২২০ টাকা। সিম ও তাল বেগুনের কেজিও দুইশো ছাড়িয়ে। মৌসুমের শেষ পর্যায়ে এসে ধীরে ধীরে চড়ছে পেঁয়াজের বাজার।
গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে এক কেজি দেশি পেয়াজের দাম হাঁকা হচ্ছে ৮০ টাকা। আর কেজিতে ১০ টাকা দাম বেড়েছে আমদানি করা রসুনের, গুণতে হবে ১৬০ টাকা। অস্থিরতা দেখা গেছে ডালের বাজারে। চিকন দানার দেশি মশুর ডালের জন্য বাড়তি গুনতে হবে ১০ থেকে ১৫ টাকা। মিলছে ১৬০ টাকা কেজিতে।