More

    বরিশালে শ্মশান দীপাবলি উৎসবে হাজারো মানুষ

    অবশ্যই পরুন

    উপমহাদেশের অন্যতম বৃহত্তম শ্মশান দীপাবলি উৎসবে বরিশালের মহাশ্মশানের সমাধিগুলো রং-বেরঙের ফুল আর আলোকমালায় সাজানো হয়েছে। নগরীর কাউনিয়ায় অবস্থিত মহাশ্মশানে রোববার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলে। এতে হাজার হাজার সনাতন ধর্মাবলম্বী অংশ নেন।

    এ আয়োজন সুষ্ঠু করতে শ্মশানের আকাশে ড্রোন উড়িয়ে নজরদারির পাশাপাশি বিভিন্ন স্তরে পুলিশ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের কমিশনার শফিকুল ইসলাম। ১৯২৭ সালে বরিশাল মহাশ্মশানে শ্মশান দীপাবলি উৎসব শুরু। প্রায় ৫ একর ৯৬ শতাংশের বেশি আয়তনের শ্মশানে রয়েছে সাত হাজারের বেশি কাঁচা-পাকা সমাধি। কালীপূজার আগে মহাশ্মশানে রোববারের রাতে জ্বলে উঠে হাজার হাজার আলোকশিখা। এতে শ্মশানটি পূজা ও বন্দনার পুণ্যভূমিতে রূপ নেয়।

    প্রয়াত স্বজনকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন নেপাল, ভারতসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষও। ভারতের শিয়ালদা এলাকার খগেন্দ্র চন্দ্র শীল বলেন, একসময় সপরিবারে আমরা বরিশাল নগরীতে বসবাস করতাম। তখন বাবা-মা মারা যাওয়ায় তাদের সৎকার হয় এ শ্মশানে।

    তাই প্রতিবছর শ্মশান দীপাবলিতে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনসহ আত্মার শান্তি কামনায় এখানে আসি। বরিশাল মহাশ্মশান রক্ষা কমিটির সভাপতি অসিম কুমার দাস মুরালি বলেন, দীপাবলি উৎসবকে কেন্দ্র করে সবার অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম করেছি।

    এ ঐতিহ্যবাহী শ্মশানে রূপসি বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের বাবা সত্যানন্দ দাশ ও পিতামহ সর্বানন্দা দাশ, অশ্বিনীকুমার দত্তসহ অসংখ্য গুণীর সমাধি রয়েছে। সাধারণ সম্পাদক বিজয় ভক্ত বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস-কালীপূজার আগে চতুর্দশী তিথিতে পূজা-অর্চনা করলে প্রয়াত ব্যক্তির আত্মা শান্তি লাভ করে। তাই সমাধিস্থলে প্রয়াতের পছন্দের প্রিয় খাবার নিবেদন করা হয়।

    এছাড়া মোমবাতি প্রজ্বালন করে প্রয়াতের আত্মার শান্তি কামনা করেন স্বজনরা। নগর পুলিশের কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, শ্মশান ও বাইরে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে সদস্যরা কাজ করছেন। সহায়তা কেন্দ্র চালুসহ আগতদের যাতায়াত সহজ করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    বিপিএলে অংশ নেবে না ফরচুন বরিশাল!

    বিপিএলের প্রতি আসরেই দেখা মেলে নানা বিতর্ক। মাঠ এবং মাঠের বাইরের নানা কাণ্ডে আলোচনায় থাকে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই...