কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক কাউছার হামিদ বলেছেন, ‘সরকারি খাল, জলাশয় কিংবা খাস জমি কোনোক্রমেই দখল করা যাবে না। শুধু তাই নয়, পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করা হলে সরকারের বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বুধবার দুপুরে কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) আয়োজিত পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় “ চিংগরিয়া খালের বিরাজমান পরিস্থিতি” বিষয়ক সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাউছার হামিদ আরো বলেন, ‘কলাপাড়া শহরকে বাস উপযোগি রাখতে খালে কোন ধরনের বর্জ্য ফেলা যাবে না।’ এসভায় সভাপতিত্ব করেন বেলা্#৩৯;র নেট মেম্বার মেজবাহউদ্দিন মাননু। স্বাগত বক্তব্য ও চিংগরিয়া খালের বাস্তব পরিস্থিতি নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন বেলা বরিশাল সমন্বয়কারী লিংকন বায়েন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিপিপির সহকারী পরিচালক মো আসাদুজ্জামান খান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোকসেদুল আলম, প্রবীণ সাংবাদিক শামসুল আলম, কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অমল মুখার্জি প্রমুখ। সভায় উন্মুক্ত আলোচনা করেন সাংস্কৃতিক সংগঠক মোস্তফা জামান সুজন, সাংবাদিক মিলন কর্মকার রাজু, মোস্তাফিজুর রহমান সুজন, মোয়াজ্জেম হোসেন, সৈয়দ মো রাসেল, নাহিদুল হক, সংগঠক গাজী মো ইলিয়াস, আব্দুল খালেক, দীপক চন্দ্র হাওলাদার প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ‘৪০—৬০ ফুট প্রস্থ ৭—৮ ফুট গভীরতার এই খালকে ৮০’ র দশকের মাঝামাঝি সময়ে চাষযোগ্য কৃষি জমি দেখিয়ে অবৈধভাবে লিজ দেওয়া হয়েছে। যা বাতিলের দাবিতে উচ্চ আদালতে মামলা করা হয়েছে।
তাই দ্রুত এই লিজ বাতিল করা হোক। খালটির সকল অবৈধ স্থাপনা, বাঁধ দ্রুত অপসারণ করা হোক। পানির প্রবাহ ঠিক রাখতে সরু কালভার্ট ভেঙে প্রশস্ত কালভার্ট করা হোক। উচ্ছেদের নামে শুধু ঝুপড়ি স্থাপনা অপসারণ নয়। বহুতল স্থাপনা আগে অপসারণ করতে হবে।’ সবার আগে খালের সীমানা চিহ্নিত করা হোক বলে উপস্থিত সবাই সোচ্চার দাবি তোলেন।