দামে সাশ্রয়ী, চাহিদাও রয়েছে। তারপরও মিলছে না সংযোগ। টেলিফোন সেবা বন্ধ হলেও ইন্টারনেট সেবা দিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়াতে চায় বিটিসিএল। কিন্তু ঝালকাঠিতে সংস্থাটির সংযোগ পাওয়া একপ্রকার ভোগান্তি গ্রাহকের জন্য। তবে, গ্রাহকদের সাধ্যমতো সেবা দেয়ার দাবি কর্তৃপক্ষের। ঝালকাঠিতে ২০০২ সালে ডিজিটাল টেলিফোন ফোন সেবা শুরু হয়। ২০২৪ সালে মার্চ মাসে শুরু হয় টিঅ্যান্ডটির ইন্টারনেট সেবা।
ফোনের ডিজিটাল সেবা নাম হলেও ঝিমিয়ে পড়েছে তারের মাধ্যমে এ টেলিফোন সেবা। কার্যক্রম চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। সরকারি অফিস ছাড়া বাসা বাড়িতে এখন আর নেই কপার ফোনের সংযোগ। অপরদিকে, গ্রাহক প্রতি ৫’শ টাকায় ১২ এমবিপিএস স্পিড থেকে শুরু করে ১৭’শ টাকায় ৫০ এমবিপিএস পর্যন্ত বিটিসিএলের ৭টি ইন্টারনেট প্যাকেজ চালু রয়েছে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ে তুলনামূলক সাশ্রয় এবং ঝড়-বৃষ্টিতে নিরাপত্ত্বার কারণে বিটিসিএলের এ প্যাকেজের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও পাওয়া যায় না সংযোগ। গ্রাহকরা বলছেন, আবেদন প্রক্রিয়া জটিল এবং অফিসে হয়রানি হতে হয় বলে উৎসাহ হারাচ্ছে সবাই। তবে কোনো ঝামেলা ছাড়াই একদিনের মধ্যেই বেসরকারি ইন্টারনেট ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান থেকে সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
জেলা শহরে বিটিসিএলের ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেও জেলার অন্য তিনটি উপজেলায় একেবারেই পৌঁছায়নি ইন্টারনেট সেবা। শহরের শহীদ স্মরণি এলাকার জহিরুল ইসলাম জলিল বলেন, তিন আগে আবেদন করেও আমি বিটিসিএলের সংযোগ পাইনি। অথচ ২৩’শ লাইনের মধ্যে অর্ধেকও ফিলাপ হয়নি। এ কারণেই দিন দিন বেসরকারি কোম্পানিগুলো জনপ্রিয় হচ্ছে।
সুভাষ বিশ্বাস বলেন, টেলিফোন লাইনতো উঠেই গেছে। টিঅ্যান্ডটির ইন্টারনেট আসায় আমরা আশায় আলো দেখছিলাম। কিন্তু আমাদের সে ইন্টারনেটের কোনো সুফল আমরা পাচ্ছি না। ঝালকাঠি বিটিসিএলের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. তরুকুল ইসলাম খান বলেন, জনবল কম থাকা এবং মোবাইল টেকনোলজির প্রাসারের ফলে বিটিসিএলের কপার ফোনের চাহিদা কমে গেছে।
অপরদিকে ইন্টারনেটে সংযোগের ব্যাপারে গ্রাহকদের সাধ্যমতো সেবা দেয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ঝালকাঠি জেলা জুড়ে কপার টেলিফোন সংযোগ রয়েছে ৬৫১ টি। অপরদিকে কেবল জেলা শহরের জন্য বরাদ্দকৃত ২৩০০ ইন্টারনেট সংযোগের বিপরীতে সংযোগ পেয়েছেন ১০৮০ জন।
