বরিশালে পৃথক দুটি রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির ৯ জন নেতাকর্মীকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারক। এরমধ্যে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা মামলায় জাতীয় পার্টির চারজন এবং হিজলা উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় আওয়ামী লীগের পাঁচজন নেতাকর্মী রয়েছেন।
একইসাথে বরিশাল মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক অধ্যক্ষ মহাসিনুল ইসলাম হাবুলকে জামিন দিয়েছে আদালত। রবিবার (২ নভেম্বর) শেষ কার্যদিবসে বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক (ভারপ্রাপ্ত) ইসরাত জাহান এই আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারি কামরুল ইসলাম। জেলহাজতে প্রেরন করা জাতীয় পার্টির চার নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছেন-মোহাম্মদ জুম্মান, আক্তার হোসেন, রফিকুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩১ মে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বরিশাল নগরীর সদর রোড এলাকায় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে রাষ্ট্রবিরোধী শ্লোগান দেয়ার অভিযোগ ওঠে। এ সময় গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা তাদের ‘রাষ্ট্র বিরোধী’ শ্লোগান না দেয়ার অনুরোধ জানালে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং হামলার ঘটনা ঘটে।
পরে গণঅধিকার পরিষদের বরিশাল মহানগরের সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম সাগর বাদি হয়ে দুই থেকে আড়াই শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় চার নেতাকে জেলহাজতে পাঠানো হয় এবং আহবায়ক অধ্যক্ষ মহাসিনুল ইসলাম হাবুলকে জামিন দেয়া হয়। অপরদিকে হিজলা উপজেলায় বিএনপি কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়ের হওয়া বিস্ফোরক আইনের মামলায় গ্রেপ্তারের পর জেলহাজতে প্রেরণ করা আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতাকর্মীরা হলেন-মো. শাহাবুদ্দিন পন্ডিত, মোশারফ হোসেন তালুকদার, লিয়াকত কাজী, হুমায়ুন কবির ও ইলিয়াস মোল্লা। আদালত সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২২ জুলাই হিজলা উপজেলা বিএনপির অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক শাহজালাল রাজিব বাদি হয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন।
