কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়া ধানখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও মেম্বার আবুল হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কারের ৬ দিনের মাথায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে কলাপাড়া প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার তৌহীদুর রহমান (সিআইপি) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মেম্বার ও বিএনপি নেতা আবুল হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, আমার অর্থনৈতিক সামাজিক সম্মানহানি ও ব্ল্যাকমেইল করার জন্য একই ওয়ার্ডের শাহীন হাওলাদারের নেতৃত্বে গত ৩০ অক্টোবর সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন কাহিনি সাজিয়ে ধনখালী ছৈলাবুনিয়া গ্রিসের আনন্দ বাজারে কতিপয় লোকজন নিয়ে মানববন্ধন করেন। এবং মানববন্ধনে আমার বিরুদ্ধে এলাকায় রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে সরকারের বিভিন্ন বরাদ্দকৃত সকল সুবিধা টাকার বিনিময়ে বিতরণের অভিযোগ তোলে। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
অথচ আমি ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সরকারের বরাদ্দকৃত সকল সুবিধা সততার সাথে বিতরণ করেছি। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে আমার এলাকার ৭জন দরিদ্র মানুষকে টয়লেট বিতরণ করা হবে বলে আমার কাছে নাম চাওয়া হয়। আমি ৭ জনের নাম দেই। আফিস থেকে দুই জনের নাম বাদ দিয়ে ৫পাঁচ জনের নাম রাখে। ওই তালিকায় শাহীন হাওলাদারের নাম ছিল।
তার নাম অফিস থেকে বাদ পরার পর থেকে আমার নামে বিভিন্ন অপপ্রচার চালায়। এছাড়া আমার ওয়ার্ডের মো: সোরাপ হোসেন মাদবর একই ওয়ার্ডের মো: শহিদ ব্যাপারী ও মোসা: লিপি বেগম এই দুই জনের কাছ থেকে টিউবয়েল দেওয়ার নাম করে ৪০ হাজার টাকা নেয়। কিন্তু টিউবয়েল না পাওয়ায় আমার কাছে বললে আমি তাকে মৌখিকভাবে জিজ্ঞাসা করিলে তিনি অস্বীকার করে। এর পর থেকে তার একজোট হয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়।
এই অপপ্রচারের কারণে কোন প্রকার তদন্ত ছাড়া আমাকে দল থেকে সাময়িক বহিস্ক্ধসঢ়;ার করে। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে। এই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অপপ্রচারের জন্য প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচারের দাবি করেন।
আবুল হোসেনের বহিষ্কারের ব্যাপারে ধানখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আসাদুজ্জামান আলমগীর হোসেন দলের আইন অনুসারে না চলায় তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এবং সঠিকভাবে করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মো: বাবুল মাতবর, সহসভাপতি মো: কালম, ৪নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি রাজু প্যাদা প্রমূখ।
