More

    ভারতেও রপ্তানি হচ্ছে পিরোজপুরের সুপারি

    অবশ্যই পরুন

    দক্ষিণ অঞ্চলের অন্যতম বড় সুপারির হাট বসে পিরোজপুরের কাউখালীতে। বৃহত্তম এই সুপারি বাজারটি কালের বিবর্তনে লাভজনক কৃষিপণ্য হিসেবে এখনো টিকে আছে। এখানকার সুপারির মান ভালো হওয়ায় প্রতি বছর সুপারি মৌসুমে বাজার জমে ওঠে। এই অঞ্চলের প্রতিটি পরিবারে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে সুপারির আয় একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ধানের পরই এর স্থান।

    সুপারি গাছ নেই এমন কোনো বাড়ি এ অঞ্চলে খুঁজে পাওয়াও দুষ্কর। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমানে এই অঞ্চলে হাটবাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে সুপারি উঠছে। আপৎকালীন সুপারি বিক্রি করে সংসারের চাহিদা মিটছে অনেক কৃষকের। প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার পাকা ও শুকনো সুপারি বেচাকেনা হয় কাউখালীতে।

    দক্ষিণ অঞ্চলের ১৫/২০টি উপজেলা থেকে ব্যবসায়ীরা সুপারি নিয়ে বিক্রির জন্য কাউখালীতে আসে। এখানে সপ্তাহে শুক্র ও সোমবার এই দুদিন বৃহত্তম সুপারির হাট বসে। এছাড়া উপজেলার ১০/১২টি ছোট-বড় হাটে সারা বছরই সুপারি কেনা-বেচা হয়। তবে শুকনো সুপারি মৌসুম ফাল্গুন থেকে আষাঢ় মাস এবং পাকা সুপারির মৌসুম শ্রাবণ থেকে অগ্রহায়ণ মাস পর্যন্ত।

    স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ ও বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ীরা সুপারি কিনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলসহ ভারতে পাঠান। বর্তমানে প্রতি কুড়ি (২১০টি) সুপারি শ্রেণি ভেদে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে, যা গত বছরের তুলনায় ভালো।

    সুপারি ব্যবসায়ী জামাল হোসেন ও আব্দুস সালাম জানান, এ বছর সুপারির ফলন গত বছরে তুলনায় ভালো। দামও বেশ ভালো। সুপারি বাগানের মালিক শহীদুল হক বলেন, ‘এ বছর আমার সুপারি বাগানটি ৪ লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। গত বছর ফলন কম হওয়ায় ২ লাখ টাকায় বাগান বিক্রি করেছিলাম।’

    এ বিষয়ে কাউখালী উপজেলা কৃষি অফিসার সোমা রানী দাস বলেন, ‘এখানকার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সুপারির ফলন ভালো হয়। কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও চাষিদের পরিশ্রমে সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে। আমরা কৃষকদের পরামর্শ ও বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণসহ নানা সহযোগিতা করে থাকি।’

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    আরও ৯৮ বাচ্চার মা হতে চান পরীমণি

    চিত্রনায়িকা পরীমণির ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা কম নয়। বর্তমানে সিঙ্গেল মাদার হিসেবে দুই সন্তানের মা তিনি। যদিও কন্যা সন্তান...