ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বহুল আলোচিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় কবে সেই তারিখ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা করবেন।
এদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হাইকোর্ট মাজারসংলগ্ন ট্রাইব্যুনালের ফটকে দেখা যায়, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। বিজিবি ও ডিএমপির সাঁজোয়া যানও রয়েছে সেখানে।
এদিকে এই রায়কে ঘিরে ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। রায়ের তারিখ ও নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘিরে সম্ভাব্য নাশকতা রোধে আজ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ডিএমপির ১৭ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটও নিরাপত্তা তৎপরতায় যুক্ত রয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী জানিয়েছেন, গত ১১ দিনে ১৫টি জায়গায় ১৭টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, আর গত দুই দিনে ৯টি যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনায় জনমনে ভয়ের সঙ্গে দেখা দিয়েছে কৌতূহল। তাদের প্রশ্ন, দেশের রাজনীতিতে নতুন করে আবার কী ঘটতে যাচ্ছে?
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার সড়ক পরিস্থিতি ছিল মোটামুটি স্বাভাবিক। সকাল ৭টার পর মিরপুর থেকে হাইকোর্টমুখী পথে বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশকে সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে। যান চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও অন্যান্য দিনের তুলনায় গাড়ির সংখ্যা কিছুটা কম ছিল। বাংলামোটর মোড়ে যৌথ বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতেও দেখা যায়।
